যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী

১৮৬৯
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮) এদিন গুজরাতের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। নাথুরাম গডসের পিস্তল জানিয়ে দিয়েছে, কোনও অস্ত্র যাঁকে ছিন্ন করতে পারে না, গান্ধী ভারতের সেই আত্মা। ভারতের সামাজিক পরিসরের বুননে গান্ধীর উপস্থিতি অমোঘ, বিশেষত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রশ্নে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা যা বলে, তা হল সকল ধর্মকে সমান গুরুত্ব প্রদানের কথা, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর নিজের ধর্ম মেনে চলার সম্পূর্ণ অধিকারের কথা। এটাই গান্ধী-দর্শন। ভারতীয় মনন থেকে গান্ধী মুছে দেওয়ার তিনটি বিকল্প পথ আছে— গান্ধীকে তাঁর যাবতীয় দর্শন থেকে, বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে কিছু প্রতীকে রূপান্তরিত করা; গান্ধীকে সম্মানের অযোগ্য প্রতিপন্ন করা; এবং গান্ধীর হিন্দুধর্ম আর সংঘের হিন্দুত্বকে এক ও অভিন্ন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু কোনও কিছু করেই ১৫৩তম জন্মবার্ষিকীতেও তাঁকে আত্মসাৎ করা যাচ্ছে না, এটাই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়

১৮১৪ রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় (১৮১৪-১৮৭৮) এদিন জন্ম নেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল কাঁচড়াপাড়ার ভাটপাড়ায়। তিনি হেয়ার স্কুল ও হিন্দু কলেজে পড়াশুনা করেন এবং সেই সূত্রে ইয়ং বেঙ্গল দলের কর্মী ও ডিরোজিওর প্রিয় পাত্র ছিলেন। দক্ষিণারঞ্জন ছাত্রাবস্থায়ই ‘জ্ঞানান্বেষণ’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। পরে তিনি ‘ভারত পত্রিকা’, ‘সমাচার হিন্দুস্থানী’ ইত্যাদি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। তিনি ‘বেঙ্গল স্পেক্টেটর’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। প্রচলিত সমাজবিধান উপেক্ষা করে দক্ষিণারঞ্জন বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্রের বিধবা রানিকে বিবাহ করলে কলকাতার সুহৃদজনেরা তাঁকে ত্যাগ করেন।

তপন সিংহ

১৯২৪
তপন সিংহ (১৯২৪-২০০৯) এদিন জন্ম নেন। গত শতাব্দীর পাঁচ-এর দশকে যে সমস্ত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালকের হাতে বাংলা ছবি প্রাণ ফিরে পায়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম তপন সিংহ। তাঁর পরিচালিত বিখ্যাত বাংলা ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে— ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘হাটে বাজারে’, ‘লৌহকপাট’, ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘ঝিন্দের বন্দি’, ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’, ‘নির্জন সৈকতে’, ‘অতিথি’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’, ‘এখনই’, ‘অন্তর্ধান’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ ইত্যাদি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন অনেক। ২০০৬-এ তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত।

লালবাহাদুর শাস্ত্রী

১৯০৪ লালবাহাদুর শাস্ত্রী (১৯০৪- ১৯৬৬) এদিন জন্মগ্রহণ করেন ভারতের দ্বিতীয় । প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিখ্যাত স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিসান’। তিলক ও মহাত্মা গান্ধীর অনুপ্রেরণায় তিনি ১৯২১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। অংশ নেন ১৯৩০-এ লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনেও। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বকালে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল— ১৯৬৫-র ভারত-পাক যুদ্ধ, তাসখন্দ চুক্তি ইত্যাদি। ভারতে ‘সবুজ বিপ্লব’ ও ‘সাদা বিপ্লব’-এও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মরণোত্তর ভারতরত্ন খেতাব পান। তাঁর স্মৃতিতে দিল্লিতে তৈরি করা হয়েছে ‘বিজয় ঘাট’।

ফোর্ট উইলিয়াম

১৮৬৮ এদিন পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের একাংশে জেনারেল পোস্ট অফিস অব ইন্ডিয়া স্থাপিত হয়। পূর্বে পুরনো কেল্লার অবস্থান নির্দেশ করে এখানে একটি পিতলের পাত বসানো থাকত। ভারত সরকারের স্থপতি ওয়ালটার বি গ্রেনভিলের নকশা অনুযায়ী ম্যাকিনটশ বার্ন এই ভবনটি নির্মাণ করে। বর্তমানে এখানে একটি ডাক সংগ্রহশালা, ডাকটিকিট সংগ্রহের লাইব্রেরি ও সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা অবলম্বনে নির্মিত একটি ‘রানার’-এর ভাস্কর্য আছে।

শিশিরকুমার ভাদুড়ী

১৮৮৯
নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ী (১৮৮৯-১৯৫৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। জীবিতকালেই কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৫৯-এ ভারত সরকার তাঁকে নাট্য প্রযোজনা ও অভিনয়ের জন্য পদ্মভূষণ দিতে চাইলে তিনি সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। আক্ষেপ ছিল, খেতাবের বদলে একটি জাতীয় নাট্যশালা প্রতিষ্ঠিত হলে শেষজীবনে শান্তি পেতেন।

Previous articleবঞ্চিতদের নিয়ে আজ ও কাল দিল্লির দরবারে তৃণমূল
Next articleমহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে ‘অহিংস’ পথেই চলার বার্তা অভিষেকের