এবার দলীয় কর্মীদের বি.ক্ষোভে পার্টি অফিসে “তালাবন্দি” বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতা

ফের বঙ্গ বিজেপিতে বেনজির বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের পর এবার পার্টি অফিসে তালাবন্দি হয়ে রইলেন দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

লোকসভা ভোট (Loksabha Election) যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) ঘরোয়া কোন্দল। গোটা বাংলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত গেরুয়া শিবির। স্থানীয় নেতৃত্ব তো আছেই, কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেন্দ্রের মন্ত্রী থেকে সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও।

ফের বঙ্গ বিজেপিতে বেনজির বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের পর এবার পার্টি অফিসে তালাবন্দি হয়ে রইলেন দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জেলা কার্যালয়ে গতকাল, বুধবার বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের হাতে ঘেরাও রইলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁকে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, কর্মীরা তাঁকে অশালীন ভাষায় একের পর এক কটূক্তি ছুঁড়ে দেন। কেউ কেউ শারীরিক নিগ্রহ করার চেষ্টাও করেন।

বারুইপুর পার্টি অফিসে জয়নগর জেলা নিয়ে বৈঠক করতে এসেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন আরএসএস’র এই প্রচারক। জেলা। বিজেপি সূত্রের দাবি, জয়নগর জেলার সভাপতি উৎপল নস্করকে নিয়ে কর্মীদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপোষণ সহ একাধিক অনিয়মের বিরুদ্ধে এদিন তাঁর অপসারণ দাবি করা হয়।

একটা সময় কর্মীদের ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল অমিতাভবাবুর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কিছু পার্টি সদস্য। অমিতাভবাবুর সঙ্গেই রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় পার্টি অফিসে আটকা পড়েন। পার্টি অফিসে সভাপতির চেম্বারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কয়েক ঘণ্টা আত্মগোপন করেছিলেন জয়নগরের জেলা সভাপতি।