যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

১৯৬৪ ঘূর্ণিঝড়

১৮৬৪ ঘূর্ণিঝড়
এদিন বাংলার বুকে আছড়ে পড়ে। সেবার কলকাতার বদলে ঝড়ের আঘাত সব থেকে মারাত্মক ছিল খেজুরিতে। সে-সময় খেজুরি ছিল সম্পন্ন বন্দর। ঝড়ের অভিঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল খেজুরি ও হিজলি বন্দর। মুখ থুবড়ে পড়েছিল ব্যবসার প্রধান মাধ্যম আমদানি ও রফতানি। সে-সময় শুধু শহর কলকাতাতেই ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ছাপিয়ে গিয়েছিল ৯৯ হাজার টাকা। বেলভেডেয়ার এস্টেট, জাজেস কোর্ট, ইয়োরোপিয়ান লুনাটিক হাসপাতাল-সহ কলকাতার অসংখ্য নামী প্রতিষ্ঠান তছনছ হয়ে গিয়েছিল প্রকৃতির তাণ্ডবলীলায়। হুগলি নদীতে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতা অবধি। ঝড়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ হয় ভেসে গিয়েছিল, নয়তো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কলকাতার কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ধসে পড়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একশোর বেশি পাকা বাড়ি। এই প্রলয়ের পরের কয়েক মাস ধরে আবার তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়েছিল কলকাতাকে।

শক্তি ঠাকুর

২০২০ গায়ক-অভিনেতা শক্তি ঠাকুর (১৯৪৭-২০২০)

এদিন চলে গেলেন। একাধিক বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপশি প্লেব্যাকও করেছিলেন শক্তি ঠাকুর। গায়ক, অভিনেতা হিসাবে পরিচয় পেলেও প্রথম জীবনে শক্তি ঠাকুর ছিলেন স্কুলশিক্ষক। অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। ১৯৭৬-এ তপন সিংহের ‘হারমোনিয়াম’ ছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে গানের দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন তিনি। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে তাঁর সুর করা বেশ কিছু বাংলা ছবিতে গান গাইয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিনয় করেছেন তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবিতে। এই ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে কোরাসে গলাও মেলান। এ ছাড়াও শক্তি ঠাকুর গান গেয়েছেন, অজয় দাস, আর ডি বর্মনের সুরে। উৎপল দত্ত, বিকাশ রায়ের মতো স্বনামধন্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁর ছোট মেয়ে মোনালি ঠাকুরও বাংলা ও হিন্দি গানের জগতে উজ্জ্বল নাম।

লর্ড কর্নওয়ালিস

১৮০৫ লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৩৮-১৮০৫)

এদিন দেশে প্রত্যাবর্তনের পথে ভারতের গাজিপুরে মারা যান। ব্রিটিশ ভারতের বহুল আলোচিত আইন বা বিধান চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তক। তৃতীয় মহীশূর যুদ্ধে তিনি বীরযোদ্ধা টিপু সুলতানকে পরাজিত করেন।

হেমন্তকুমার বসু

১৮৯৫ হেমন্তকুমার বসু (১৮৯৫-১৯৭১)

এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন। রাসবিহারী বসু ও বাঘাযতীনের বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গী ছিলেন। ১৯১৪-তে সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। ফরওয়ার্ড ব্লকের বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৭-তে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার পূর্তমন্ত্রী ছিলেন। এই নেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কলকাতার রাজপথে একদল যুবক নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।

ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

১৮৯৪ ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়(১৮৯৪-১৯৬১)

এদিন জন্মগ্রহণ করেন। অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্ব পড়িয়েছেন বঙ্গবাসী কলেজ, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, হল্যান্ডের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দেশ-বিদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সাহিত্য ও শিল্প সম্পর্কে অসংখ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লিখেছেন। উচ্চাঙ্গ সংগীতেও ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর।

যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল

১৯৬৮ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল (১৯০৪-১৯৬৮)

এদিন প্রয়াত হন। তফসিলি সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতা। ১৯৪৬-এ ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন। দেশভাগ মেনে নিতে পারেননি। তফসিলিদের আন্দোলনে মুসলিম লিগ সমর্থন করবে এই আশায় পাকিস্তান সরকারে যোগ দেন। আশাভঙ্গ হয়। ১৯৫০-এ পিতৃপুরুষের ভিটে ছেড়ে এদেশে ফিরে আসেন। এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ফতিমা বিবি

১৯৮৯ ফতিমা বিবি

এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোনীত হন। তিনি হলেন প্রথম একজন মুসলিম মহিলা যাঁকে ভারতের উচ্চতর বিচারব্যবস্থায় নিযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারক এবং এশিয়া উপমহাদেশেরও প্রথম মহিলা বিচারক হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন।


Previous articleআজ শুরু বিশ্বকাপ, প্রথম ম‍্যাচে মুখোমুখি ইংল‍্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড
Next articleএবার দলীয় কর্মীদের বি.ক্ষোভে পার্টি অফিসে “তালাবন্দি” বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতা