তাঁরাও শ্রমিক, অধিকারের দাবিতে মে দিবসে সোনাগাছি বন্ধ

তাদের দাবি, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে। তার পরেও তাদের উপর নানাভাবে হেনস্থা করা হয়।

‘মে’ দিবসের বিশেষ ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। এদিকে দেহ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকের অধিকার দাবি করছেন। সেই কারণে এবার মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি। আপাতত এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার মে দিবসে যৌনকর্মীদের স্লোগান, ‘গতর খাটিয়ে খাই। শ্রমিকের অধিকার চাই।’এরই পাশাপাশি একাধিক দাবি তুলতে চাইছেন তারা। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কাস্টমার ও যৌনকর্মীর মধ্য়ে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হলে তার মাঝে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এমনকী স্বেচ্ছায় কেউ যদি যৌন কর্মীর পেশা বেছে নিতে চান তবে তাঁকে পুলিশ হয়রান করা বা তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তাদের দাবি, এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে। তার পরেও তাদের উপর নানাভাবে হেনস্থা করা হয়।

দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার সোনাগাছিতে একটা বড়় জমায়েত হয়। সেখানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যৌনকর্মীরা হাজির হন। সেখানে তাঁদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত নানা আলোচনা করা হয়। সমাজে তাঁদের অবস্থানকে কেন এভাবে অবহেলার করে রাখা হবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়।দুর্বারের নেত্রী বিশাখা লস্করের দাবি, দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকরা কাজ করেন। তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিকের মর্যাদা পান। শ্রমিক হওয়ার সুবাদে তাঁদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যৌনকর্মীরা সেই শ্রমিকের মর্যাদাটুকুও পান না। সেই সঙ্গেই দুর্বারের দাবি, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডের জন্য যেন তাদের বাড়ির ঠিকানা দাবি না করা হয়। এতে তাদের আরও অস্বস্তির মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তাদের বাড়ির ঠিকানা যাতে আড়াল রাখা হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বলা হয়। কারণ রেশন কার্ডে বা আধার কার্ডে যদি সোনাগাছি নামটি নির্দিষ্ট করা হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই সেটা সমাজের চোখে অন্যরকম মনে হতে পারে। সেকারণেই এই দাবি করা হয়।বছরের পর বছর ধরে তাঁরা সমাজের চোখে ব্রাত্য। তাঁরাই চাইছেন শ্রমিকের অধিকার।




Previous articleনিয়োগ জট কাটল ২৬ বছর পর, হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি পাবেন ১৭০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী
Next articleনির্বাচনের আগে কেন গ্রেফতার? কেজরি মামলায় ইডি-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের