নিয়োগ জট কাটল ২৬ বছর পর, হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি পাবেন ১৭০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী

আইসিডিএস সুপারভাইজার নিয়োগের জট কাটল ২৬ বছর পর। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি পাবেন ১৭০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী। ৪০৯ জন কর্মী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করলেই শুধু হবে না। মোট ১,৭২৯ জনকে নিয়োগ করতে হবে। রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলাকারীর দাবি ছিল, আইসিডিস সুপারভাইজার পদে সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তারপর আর কেউ এই পদে নিয়োগ পাননি। ২০১৯ সালে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে ৩,৪৫৮টি আইসিডিস সুপারভাইজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কেন্দ্র জানিয়েছিল, মোট শূন্যপদের ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়ারির কর্মী থেকেই পদোন্নতির ভিত্তিতেই নিয়োগ করতে হবে।রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারির কর্মীদের জন্য ৪২২টি শূন্যপদ রেখে বাকি ৩,০৩৬ শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে তারা। এই নিয়োগের বিরোধিতা করেই কিছু অঙ্গনওয়ারির কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন। তাদের আরও অভিযোগ, বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৫০ শতাংশ শূন্যপদে পদোন্নতির ভিত্তিতেই অঙ্গনওয়ারির কর্মীদের থেকেই নিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ অমান্য করেছে।

সুপারভাইজার পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হওয়ার পর ১,১৫২জনের একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, প্যানেল প্রকাশ না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সরাসরি চালু করে দেওয়া হয়। তাই মেধা তালিকাভুক্ত ২০০ অঙ্গনওয়ারির কর্মীরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।আদালতে মামলা দায়ের হতেই গত ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি শুনানি হলেও সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।

পরবর্তী ক্ষেত্রে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, যেহেতু বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই ৫০ শতাংশ শূন্যপদে অঙ্গনওয়ারির কর্মীদের মধ্যে থেকেই নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩,৪৫৮ শূন্যপদের মধ্যে ১,৭২৯ জন হবেন অঙ্গনওয়ারির কর্মী। আদালতের নির্দেশ, গত ১২ এপ্রিল যে ৪০৯ জনের নিয়োগের জন্য প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার নিয়োগ সরকার চালিয়ে যেতে পারবে। বাকি শূন্যপদে ১,১৫২ জনের মেধা তালিকা থেকেই নিয়োগ হবে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয় ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন হওয়ার কারণে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেই হলফনামা দিতে হবে।




Previous articleবিজেপির পরিযায়ী পাখিদের পর্দাফাঁস, বাংলা বিরোধী উদাহরণ পেশ অভিষেকের
Next articleতাঁরাও শ্রমিক, অধিকারের দাবিতে মে দিবসে সোনাগাছি বন্ধ