“দো.ষারোপের রাজনীতি ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ান”, বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদিকে চিঠি অধীরের

অধীর এদিন চিঠিতে লেখেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের মানুষের অবস্থা উদ্বেগজনক। বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে বহু মানুষ খাবারের জলটুকু খেতে পারছেন না। পাশাপাশি হাঁটু সমান জলে তাঁদের রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি।

পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ান। বাংলার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবিতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মূলত রাজ্যের উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। চিঠিতে বাংলার ৭ জেলার কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যেখানে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং বীরভূম এই ৭ জেলার কথা উল্লেখ করেন কংগ্রেস সাংসদ।

অধীর এদিন চিঠিতে লেখেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের মানুষের অবস্থা উদ্বেগজনক। বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে বহু মানুষ খাবারের জলটুকু খেতে পারছেন না। পাশাপাশি হাঁটু সমান জলে তাঁদের রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। এছাড়াও শীঘ্রই বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন অধীর। আর এমন পরিস্থিতিতে বন্যা ম্যান মেড নাকি গড মেড সেই বিতর্কে না গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। পাশাপাশি অধীর এদিনের চিঠিতে আরও লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উচিত অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্য করা। আর কেন্দ্রীয় সাহায্য পেলে বাংলা তথা রাজ্যের মানুষের উপকার হবে বলে মত অধীরের। যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যপ্রার্থনা করেছেন অধীর।

একেই রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টির জের। জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক জেলা। আর এর মধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। আর সেকারণে হু হু করে বেড়েছে জলস্তর। প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের ৭ জেলা। ঘটনার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ডিভিসির একের পর এক জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। তার মধ্যে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানে রয়েছে বিশেষ বন্যার আশঙ্কা।