দেশজ সতীর্থ নন্দিনী আগাসারার কাছে ক্ষমা চাইলেন স্বপ্না

গত রবিবার এশিয়াডে দেশজ সতীর্থ নন্দিনী আগাসারার কাছে অল্পের জন্য পদক খুইয়েছিলেন গতবার হেপ্টাথলনে সোনাজয়ী জলপাইগুড়ির মেয়ে।

অবশেষে নন্দিনী আগাসারার কাছে ক্ষমা চাইলেন স্বপ্না বর্মন। চলতি এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে মাত্র ৪ পয়েন্টের জন্য পদক হাতছাড়া করেন বাংলার অ্যাথলিট স্বপ্না। সতীর্থ নন্দিনী আগাসারার কাছে অল্পের জন্য পদক হারান গতবার হেপ্টাথলনে সোনাজয়ী জলপাইগুড়ির মেয়ে। এরপরই দেশজ সতীর্থ নন্দিনী আগাসারার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন স্বপ্না। নাম না করে নন্দিনীর নারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদক ফেরত চান বাংলার মেয়ে। পাল্টা জবাব দিয়ে নন্দিনী জানান, স্বপ্না প্রমাণ পেশ করুন। আর এর তিনদিন পরই নন্দিনীর কাছে ক্ষমা চাইলেন স্বপ্না।

এদিন স্বপ্না ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমার সতীর্থের উদ্দেশে যে কথা লিখেছিলাম, তার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আবেগের বশে লিখে ফেলেছিলাম। আমার সেই আচরণের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

গত রবিবার এশিয়াডে দেশজ সতীর্থ নন্দিনী আগাসারার কাছে অল্পের জন্য পদক খুইয়েছিলেন গতবার হেপ্টাথলনে সোনাজয়ী জলপাইগুড়ির মেয়ে। ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হওয়ার পর প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন স্বপ্না। রবিবার রাতের সেই হতাশা সোমবার সকালে বিস্ফোরণের আকার নেয়। টুইট করে চরম বিতর্ক বাঁধিয়ে দেন স্বপ্না। নাম না করে নন্দিনীর নারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদক ফেরত চান বাংলার মেয়ে। পাল্টা জবাব দিয়ে নন্দিনী জানান, স্বপ্না প্রমাণ পেশ করুন। পরে স্বপ্না তাঁর টুইট মুছে দেন। কিন্তু তখনও বিতর্ক থামেনি।

স্বপ্না টুইটারে লিখেছিলেন, “এক ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলিটের কাছে আমি এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক খুইয়েছি। আমার পদক ফেরত চাই। এটা আমাদের অ্যাথলেটিক্সের নিয়মের বিরুদ্ধে। আপনারা আমাকে সাহায্য ও সমর্থন করুন।” স্বপ্না তাঁর টুইট মুছে দেওয়ার আগেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন নন্দিনী। বলেছেন, “আমি জানি আমি কী। ওকে প্রমাণ দেখাতে বলুন। আমি পদক জিতেছি বলেই অনেকেই অনেক কথা বলতে শুরু করেছে। আমি এএফআই-এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। আমি পদক জয়ের মুহূর্তটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে। মায়ের শরীর ভাল নেই।”

আরও পড়ুন:বিশ্বকাপের প্রথম ম‍্যাচে নামার আগে বড় ধাক্কা ভারতীয় শিবিরে, ডেঙ্গি আক্রান্ত শুভমন গিল