ম.দ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে খু.ন! নিউটাউনের ছাত্রমৃ.ত্যুতে চাঞ্চ.ল্যকর তথ্য, গ্রেফ.তার বাড়ির মালিক-সহ ২

পরিবার সূত্রে খবর, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মালদহ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন বছর উনিশের সাজিদ হোসেন। শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের বাড়ির খাটের তলা থেকে তাঁর সুটকেসবন্দি মুখে সেলোটেপ মারা দেহ উদ্ধার হয়।

মদ খাইয়ে বেহুঁশ করার পরই বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছিল মালদহের (Maldah) পড়ুয়াকে। নিউটাউনে (Newtown) ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো পুলিশের হাতে। ইতিমধ্যে ১৯ বছরের পড়ুয়া সাজিদ হোসেনকে (Sajid Hossian) হত্যার অভিযোগে বাড়ির মালিক সহ ২ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম গৌতম সিং এবং পাপ্পু ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, গৌতমের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন সাজিদ। পাশাপাশি গৌতমের একটি রেস্তোরাঁও রয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবে কী কারণে ছাত্রকে খুন করা হল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ধৃতদের শনিবারই আদলতে তোলা হতে পারে বলে খবর।

পরিবার সূত্রে খবর, নিট পরীক্ষার (NIIT) প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মালদহ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন বছর উনিশের সাজিদ হোসেন। শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের (Newtown) বাড়ির খাটের তলা থেকে তাঁর সুটকেসবন্দি মুখে সেলোটেপ মারা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পড়ুয়ার ৪ ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে শুক্রবার আটক করেছিল পুলিশ। এরপরই তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় ভাড়া বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজও (CCTV Footage)। আর সেখানেই ধরা পড়ে সাজিদকে শেষবার তাঁর বাড়ির মালিকের সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরই টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত গৌতম সিং।

নিউটাউনের মহিষবাথানের বক্সব্রিজের কাছে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সাজিদ। পরিবারের দাবি, গত ৪ অক্টোবর থেকে সাজিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁরা। বুধবার রাতে সাজিদের বন্ধুরাও ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানান, সাজিদের খোঁজ মিলছে না। এরপরই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে পরিবার। বন্ধুদের থেকে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই বৃহ্স্পতিবার সকালে কলকাতায় পৌঁছন সাজিদের বাবা। পরে নিউটাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করেন তিনি। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজিদের  বাবার মোবাইলে একটি ছবি পাঠানো হয়। পুলিশকে তিনি জানান, ওই ছবিতে  দেখা যায়, সাজিদের মুখে সেলোটেপ লাগানো রয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ডিলিট করে দেওয়া হয় সেই ছবি। এদিকে তদন্তে নেমে শুক্রবার সকালে নিউটাউনের যে ভাড়াবাড়িতে সাজিদ থাকত, সেখানেই খাটের তলায় রাখা সুটকেস থেকে উদ্ধার হয় পড়ুয়ার দেহ।

 

 

 

Previous articleসিকিমের দু.র্যোগে মৃ.তের সংখ্যা বেড়ে ৫৬! জোরকদমে চলছে উ.দ্ধার কাজ
Next articleসুকান্তকে ফোনে বলো, ১০০দিনের টাকা ফেলো: মোক্ষম দাওয়াই অভিষেকের, সাধ্বী নিরঞ্জনকেও নিশানা