অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দরন্ত ইনিংস, অজিদের বিরুদ্ধে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট-রাহুল

গতকাল 'পার্টনার ইন ক্রাইম' রাহুলের হোটেলের বাগানে এই ইনিংস নিয়ে কথা বলেছেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে কোহলি বলেন, "কম রানের লক্ষ্য ছিল।

বিশ্বকাপে প্রথম ম‍্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানোর ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। কেএল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যখন পার্টনারশিপ শুরু করেন তখন ভারতের রান ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২। সেখান থেকে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি যখন আউট হন তখন ভারতীয় দল প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়। সেই ইনিংস নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন বিরাট।

গতকাল ‘পার্টনার ইন ক্রাইম’ রাহুলের হোটেলের বাগানে এই ইনিংস নিয়ে কথা বলেছেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে কোহলি বলেন, “কম রানের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আমরা নিজেদের তৈরি করতে কতগুলো বল খেলতে তৈরি, সেটার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছিল। শুরুর দিকে আমরা কেউই বলের সংখ্যার দিকে নজর দিইনি। শারীরিক ভাবে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রয়েছে সেগুলোর কী ভাবে মোকাবিলা করব সেটা ভাবছিলাম। তখন যে কোনও ক্রিকেটারেরই একটু ক্লান্তি লাগে।” কোহলির আরও বলেন, “ছোট ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেগুলো অতিক্রম করতে করতেই ক্রমশ লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাই। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের জুটির সবচেয়ে বড় সাফল্য।”

অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর, ২০০ রান তাড়া করা একেবারেই সহজ কাজ নয়। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন বিরাট-রাহুল। একেবারে হিসেব কষে ভারতীয় দলকে নিয়ে গিয়েছেন জয়ের দোরগোড়ায়। যদিও ম্যাচ শেষ করে আসতে না পারায় ড্রেসিংরুমে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল কোহলিকে। এদিকে ম্যাচে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকা রাহুল বলেন, “আমার পরিকল্পনা ছিল প্রথম ১০টা ওভার টেস্টের মতো খেলা। টেস্টে আমি ওপেন করি। সেখানে শুরুর দিকে বল বেশ নড়াচড়া করে। নিজেকে বলেছিলাম, একটু রক্ষণাত্মক হতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ছন্দ নষ্ট করে দিতে হবে। তুমিও আমাকে বলেছিলে, এখন তাড়াহুড়ো করতে গেলে উইকেট খোয়াতে হবে। সেটাও মাথায় রেখেছিলাম।”

এর পর কোহলি নিজেই বলেন, “আসলে আমরা দু’জনেই পুরনো দিনের ক্রিকেট খেলার দিকে মন দিয়েছিলাম। চাইছিলাম কোনও ভাবে যাতে ভুল না হয়। খুচরো রান দিতে চেয়েছিলাম। এরকম জয় পেলে যে কোনও দলেরই ভাল লাগে।” পরপর উইকেট পড়ে যাওয়ায় প্রায় তাড়াহুড়ো করেই নামতে হয়েছিল রাহুলকে। ভারতীয় দলের উইকেট কিপার ব্যাটার বলেন, “সবে স্নান করে এসে বসেই দেখলাম ইশান আউট হয়ে গেল। তখনই আমি বিপদ বুঝে ড্রেসিংরুমে যাই। নিজেকে তৈরি করতে থাকি। এই সময় রোহিতও আউট হয়ে যায়। ভেবেছিলাম শ্রেয়স অন্তত দু’ওভার খেলতে পারবে। সেটাও হয়নি। খুব হুড়োতাড়ার মধ্যে নামতে হয়েছিল।”

আরও পড়ুন:অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট: রিপোর্ট

Previous articleইডির হাজিরা এড়িয়ে ফুটবল মাঠে সস্ত্রীক রণবীর! ভোলবদলে অবাক নেট দুনিয়া
Next articleহাওড়া স্টেশনে শি.উরে ওঠা দৃশ্য! রক্ষক রক্ষা করলেন যাত্রীকে