মহালয়ার সকালে তর্পনের ভিড়, ঘাটে ঘাটে ক.ড়া নিরাপত্তা

শাস্ত্রমতে এই দিন পিতৃপুরুষকে জল দান করা হয়। তৃপ্ত হন প্রয়া.ত প্রিয়জন। শান্তি পায় তাঁদের প.রলোকগত আ.ত্মা।

পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের (Debipakkha) সূচনা। আজ মহালয়ায় (Mahalaya ) সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে তর্পণের ভিড়। যুগ যুগ ধরে হিন্দু শাস্ত্রে এই প্রথা চলে আসছে। একদিকে শাস্ত্রের মাহাত্ম্য অন্যদিকে পুজোর আমেজ। সকাল থেকেই শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরা তরুণী- তরুণের ভিড় বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে। কোথাও চলছে ফটোসেশন আবার কোথাও চলছে ছবি আঁকা। ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে, আজই দেবীর চক্ষুদান।শাস্ত্রমতে এই দিন পিতৃপুরুষকে জল দান করা হয়। তৃপ্ত হন প্রয়াত প্রিয়জন। শান্তি পায় তাঁদের পরলোকগত আত্মা। প্রেতলোকের কষ্ট ত্যাগ করে যেন স্বর্গলোক লাভ করেন প্রয়াত পূর্বপুরুষ। এই ইচ্ছা নিয়ে তাঁদের আত্মার উদ্দেশে জলদান। একদিকে তৃপ্তিদান অন্যদিকে তৃপ্তিলাভ, এই দুই নিয়েই তর্পণ।

শাস্ত্রমতে পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবীপক্ষের (DurgaPuja 2023) সন্ধিক্ষণ হল মহালয়া (Mahalaya)। এটি আসলে অমাবস্যা তিথি। এই মহালগ্নে উত্তরপুরুষের হাত থেকে জল গ্রহণ করে পূর্বপূরুষ তৃপ্ত হন। কুশ ও কালো তিল ব্যবহার করা হয় তর্পণে। অনেক জায়গায় যব উপচার হিসেবে রাখা হয়। হিন্দু শাস্ত্রে তর্পণের ভাগ রয়েছে। যেমন, দেবতর্পণ, মনুষ্যতর্পণ, ঋষিতর্পণ, দিব্যপিতৃতর্পণ, যমতর্পণ, ভীষ্মতর্পণ, পিতৃতর্পণ। যদি কেউ সম্পূর্ণ তর্পণে অক্ষম হন, তাহলে তিনি রাম-তর্পণ করতে পারেন। প্রচলিত বিশ্বাস ১৪ বছরের বনবাসে থাকাকালীন রামচন্দ্র এই তর্পণ করেছিলেন।

আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে (Ganga Ghat)আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) তরফে যে সমস্ত ঘাটে তর্পণ হবে সর্বত্রই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জলেও পুলিশের বিশেষ আধিকারিকরা থাকছেন সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবেলা টিমও প্রস্তুত রয়েছে। কেউ যাতে গঙ্গার (Ganga) গভীরে না পৌঁছে যায় সেদিকে নজর রাখছেন রিভারপুলিশের আধিকারিকরা। কলকাতা, হাওড়া হুগলি সহ পার্শ্ববর্তী সব জেলাতেই আজ সকাল থেকে তর্পনের উদ্দেশ্যে ভিড় জমিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।

Previous articleমহালয়া দিনটি কি আদৌ শুভ? শাস্ত্র কী বলছে? কেন করবেন তর্পণ?
Next articleসোনারপুরের সোনার দোকানে আ.গ্নেয়া.স্ত্র দেখিয়ে লু.ঠপাট, চা.ঞ্চল্য এলাকায়!