যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা।সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। নতুন এই অ্যাপের নাম ‘যাত্রী সাথী’। রাজ্য সরকারের পরিবহণ ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতর যৌথ উদ্যোগে এই অ্যাপ তৈরি করেছে। এদিন হাওড়া, শিয়ালদহ,কলকাতা, সাঁতরাগাছি স্টেশন ও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এই পরিষেবা চালু হল। আগে হাওড়া স্টেশনে প্রিপেইড ট্যাক্সি পরিষেবা চালু ছিল। প্রিপেইড বুথে যাত্রীরা আগাম ট্যাক্সি বুকিং করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতেন। কিন্তু বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য যাত্রী পরিষেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছে পরিবহণ দফতর। এই পরিষেবা অনুযায়ী যাত্রীদের নিজেদের স্মার্টফোনে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

এদিন হাওড়া স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, জেলাশাসক, বিধায়ক মদন মিত্র ও গৌতম চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই পরিষেবা চালু হয়। তাঁরা সবুজ পতাকা নেড়ে এই পরিষেবা শুরু করেন। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, গত তিন মাস ধরে এই পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। আজ থেকে সরকারিভাবে এই পরিষেবা চালু হল।এটিই দেশের মধ্যে সরকার পরিচালিত প্রথম ট্যাক্সি পরিষেবা প্রথম বলে দাবি করেন পরিবহণমন্ত্রী।
পরিবহণ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে যাত্রী এবং চালক দু’পক্ষেরই লাভ হবে। এতে যাত্রী ভাড়া কমার পাশাপাশি তাঁদের হয়রানি কমবে। আরও বেশি পরিমাণ ট্যাক্সিকে এই পরিষেবার আওতায় আনা হবে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে, পরিবহণ দফতরের গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’ এই পরিষেবা চালু হওয়ার পর কোনও খামতি থাকলে, সেটাকে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
