অবশেষে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ২টি বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

কিন্তু বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হলেও তখন অনুমোদন না মেলায় ওইদিন বিলটি পাস করানো সম্ভব হয়নি।কারণ, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া তা পাশ করানো সম্ভব ছিল না।

মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলে শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। টালবাহানার পর রাজ্য সরকারের আনা বিলে সোমবার রাতে সম্মতি দিতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল। শুধুমাত্র তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।বিলটি পাশ করানোর জন্য রাজ্য সরকার সোমবার একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। কিন্তু বিলটি বিধানসভায় পেশ করা হলেও তখন অনুমোদন না মেলায় ওইদিন বিলটি পাস করানো সম্ভব হয়নি।কারণ, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া তা পাশ করানো সম্ভব ছিল না।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রী ও বিধায়কদের ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল সোমবার বিধানসভায় আনতে চেয়েছিল সরকার। বিল ছিল দুটি। একটি ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিস অ্যান্ড অ্যালাউন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩’,  অন্যটি হল ‘দ্য বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩’। যেহেতু দুটি বিলে আর্থিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, তাই রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়াটা আবশ্যিক। সেই মতো গত সপ্তাহে বিল সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের পরিষদীয় দফতর থেকে ফাইল যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে।

সরকার পক্ষ আশা করেছিল, রাজ্যপাল বিল নিয়ে আলোচনার উপর ছাড়পত্র দেবেন।কিন্তু সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজভবন থেকে কোনও বার্তা আসেনি। ফলে নির্ধারিত সূচি মেনে সোমবার বেলা ১২টায় বিধানসভার অধিবেশন বসে। বিলটির বিষয়ে বিধায়কদের জানানো হয়। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, প্রাক্তন বিধায়ক দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর কারণে শোকপ্রস্তাব পাঠ করে বিধানসভা মুলতবি করে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর।আজ অনুমোদন মেলায় আগামী ৪ ডিসেম্বর ফের বিলটি বিধানসভায় পাশ করানোর জন্য পেশ করা হবে।

Previous articleক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ১৯৭ কোটি টাকা অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার
Next articleভারত-পাকিস্তান ম‍্যাচের পর আয়োজকদের কটাক্ষ পাক কর্তার, ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি