ইজরায়েলের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীই! নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে চ.রম ক্ষু.ব্ধ দেশবাসী

গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে ব্যাপক আক্রমণ সংগঠিত করার পর ইজরায়েলি জনগণকে বড় ধাক্কা দিয়েছে হামাস। এরপর থেকেই সে দেশের জনতা নেতানিয়াহু সরকারকে  ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

যুদ্ধবিধবস্ত ইজরায়েলের (Israel) বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। বিশেষ করে তাঁর যুদ্ধ পরিচালনার কৌশল ও তার জেরে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলছেন সেই দেশের নাগরিকরা। সময় যত গড়াচ্ছে নেতানিয়াহুর সরকারের উপরে ইজরায়েলবাসীর ক্ষোভ যেন চরম আকার ধারণ করছে। মানুষের ক্ষোভ এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে মঙ্গলবার গাজার (Gaza) হাসপাতালে আকাশপথে হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলায় কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলে ইজরায়েলের এক মন্ত্রীকে গেটের বাইরেই আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিন ওই মন্ত্রীকে আহতদের আত্মীয় পরিজনরা হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেয়। অন্যদিকে, এদিন মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কফি ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। তবে সেই কফি মন্ত্রীর শরীরে না লাগলেও তাঁর দেহরক্ষীর গায়ে গিয়ে পড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।

তবে এখানেই শেষ নয়, আরেক মন্ত্রী হামাসের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মূর্খ’স্লোগান শুনতে হয়। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে ব্যাপক আক্রমণ সংগঠিত করার পর ইজরায়েলি জনগণকে বড় ধাক্কা দিয়েছে হামাস। এরপর থেকেই সে দেশের জনতা নেতানিয়াহু সরকারকে  ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জন্য খারাপ দিন আসছে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বেষ্টনীকে ফাঁকি দিয়ে হামাস কীভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারল, ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করল, গোয়েন্দারা আগেভাগে কেন জানতে পারল না—এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন ও বেজায় ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের মানুষ। আর সেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। এদিকে হামাসের হামলার পরপরই প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। তবে ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হয়েছে ইজরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবনে এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

এদিকে জনরোষের মুখে হামাসের হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছেন নেতানিয়াহু। গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল। এরপরও জনগণের ক্ষোভ কমাতে পারছেন না তিনি।

 

 

 

 

 

Previous articleনিজ্জর হ.ত্যাকাণ্ডে কানাডার পাশে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া
Next articleনিউজক্লিক গ্রে.ফতারি মামলায় জবাব তলব করে দিল্লি পুলিশকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের