এগিয়ে থেকেও ২-১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গল এফসির। এদিন আইএসএল-এর ম্যাচে নেমেছিল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। প্রতিপক্ষ ছিল এফসি গোয়া। সেই ম্যাচে নওরেম মহেশের গোলে এগিয়ে থেকেও, এফসি গোয়ার কাছে ২-১ গোলে হারল লাল-হলুদ ব্রিগেড।

ম্যাচে এদিন শুরু থেকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ ঝাঁপায় দু’দল। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় নন্দকুমার একটি ক্রস পেয়ে সেটি গোলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তবে এফসি গোয়ার ফুটবলার জয় গুপ্তা সেখানে ব্লক তৈরি করেন। বল বেরিয়ে যায়। আরও একটি কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। এর পর গোয়ার সেরিটন চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্বল আক্রমণ। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ক্লেটনকে ডানদিকে বল বাড়ান নন্দ কুমার। সেখান থেকে ক্রেসপো ক্রস পান। এবং তিনি গোলের লক্ষ্যে বল মারার চেষ্টা করলেও, তা ব্যর্থ হয়। তবে ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। জয় গুপ্তর থেকে বল কেড়ে নিয়ে নওরেম মহেশকে বল বাড়ান। নন্দকে লক্ষ্য করে দৌড়ে আসছিলেন নওরেম। সেই বল ধরে জালে জড়াতে এতটুকুও ভুল করেননি নওরেম মহেশ। গোল করে লাল-হলুদকে ১-০ এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। এরই মধ্যে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে রাকিপের জায়গায় নিশু কুমারকে নামান কুয়াদ্রাত। তবে এরই মধ্যে ১-১ করে এফসি গোয়া। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে সেটপিস থেকে ভিক্টর রডরিগেজের শট থেকে হেড নিখুঁত গোল সন্দেশ ঝিঙ্গানের। সমতা ফেরান তারকা ডিফেন্ডার। এর ঠিক এক মিনিট পরেই আবার গোল এফসি গোয়ার। মাঝমাঠ থেকে পাওলো রেত্রে বল ছিনিয়ে নিয়ে ভিক্টরের কাছে বল পাঠান। প্রভসুখন গিলকে প্রতিহত করে জালে বল জড়ান ভিক্টর। তাঁকে আটকানোর কোনও চেষ্টাই করেনি লাল-হলুদ। এই গোলের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ পুরোপুরি দায়ী। এর ম্যাচে জোড়া পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ। নওরেম মহেশ এবং খাবরার জায়গায় নামেন বিষ্ণু এবং শৌভিকে নামান তিনি। তবে এতে কোন কাজের কাজ হয়নি। গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই হারের ফলে চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে কুয়াদ্রাতের দল।
আরও পড়ুন:আগামিকাল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ, কী বলছে ধর্মশালার আবহওয়া?
