Thursday, December 25, 2025

২৪ ঘন্টায় গাজার ৩২০ জায়গায় এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের, হামাসের হাতে পণবন্দি ২২২

Date:

Share post:

যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। এদিকে অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগের মধ্যে পড়ে কাতরাচ্ছেন গাজার সাধারণ মানুষ। এরই মাঝে খবর, ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৩২০ টি জায়গায় এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার রাত ভোর চলা এই হামলায় সত্য জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। শুধু তাই নয়, এদিন আইডিএফ-এর তরফে যে তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দাবি করা হয়েছে ২২২ জনকে পনবন্দি করে রেখেছে হামাস।

বস্তুত, গত ৭ অক্টোবর থেকে দু-তরফের মধ্যে যে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ চলছে, তাতে এর মধ্যেই গাজায় (Israel Gaza War) অন্তত ৪ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেত্রে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৪০০। বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর প্রশাসনের অভিযোগ, ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলায় বহু মানুষকে পণবন্দি করেছিল হামাস। আইডিএফ আজ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তা অনুযায়ী ২২২ জনকে পণবন্দি করেছে হামাস। গাজায় হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, প্যালেস্তিনীয় বন্দুকবাজদের মোকাবিলায় তাদের ‘গ্রাউন্ড ফোর্স’ রবিবার রাতভর ‘লিমিটেড রেড’ চালিয়েছে। আর আকাশপথে লক্ষ্য করা হয়েছে শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলিকে যেখানে হামাস পরবর্তী আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়, তাতে বলা হয়েছিল, ‘হামাস জঙ্গিরা যে সব সুড়ঙ্গে থাকছিল, একাধিক সক্রিয় কমান্ড সেন্টার, ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি, তাদের সেনা কম্পাউন্ড এবং অবজার্ভেশন পোস্ট, এমন সব লক্ষ্যেই আক্রমণ চালানো হয়।’ যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল। তাতে বহু প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়, অনেকে গুরুতর জখম হন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে গাজা ভূখণ্ডের হাল কার্যত নরকের চেহারা নিয়েছে। জল-জ্বালানি-পানীয়র অভাবে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। যাঁরা বেঁচে, তাঁদের দুর্দশা কল্পনারও বাইরে। এর মধ্যে একচিলতে ভূখণ্ডের এক হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত মরফিন তথা ব্যথার ওষুধ না থাকায় এগুলির যথাযথ ডোসেজ ছাড়াই অপারেশন করতে হচ্ছে ডাক্তারদের। হাসপাতালে হামলার জন্য প্রথমে ইজরায়েলের দিকে আঙুল উঠলেও পরে গাজার অনুসারী সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। দায় কার, সেটা স্পষ্ট নয় এখনও। কিন্তু পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা কেন করা যাচ্ছে না, সেটা নিয়ে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল।

spot_img

Related articles

১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরলেন খালেদাপুত্র, তারেককে ঘিরে উচ্ছ্বাস-বিএনপি সমর্থকদের

বাংলাদেশের ফিরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান (Tarique Rahman returns in Bangladesh)। বৃহস্পতি সকালেই তিনি সিলেট...

এক দশক পর শীতলতম বড়দিন পেল বাংলা!

যিশু জন্মদিনের সকালে (Christmas morning) কলকাতার তাপমাত্রা (Kolkata temperature) নামলো ১৩.৭ ডিগ্রিতে। শীতের আমেজে জমজমাট বড়দিনের আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে...

মধ্যরাতে কর্নাটকের ট্রাক-বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে ঝলসে মৃত্যু অন্তত ১০ জনের

বড়দিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কর্নাটকে। বেসরকারি একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের (bus truck accident) ফলে বাসে আগুন ধরে যাওয়ায়...

ক্রিসমাসে রক্তাক্ত ঢাকা, চার্চ টার্গেট করে বিস্ফোরণে মৃত ১

বড়দিনের উৎসব শুরু হবার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় ককটেল বিস্ফোরণে রক্তাক্ত বাংলাদেশের ঢাকা (Blast in Dhaka, Bangladesh)। মগবাজার ফ্লাইওভারে...