বেলজিয়ামে জমজমাট মাতৃ আরাধনা, আয়োজনে কালচারাল এসোসিয়েশন ইইউ, এন্টওয়ার্প

উপাসনা ভট্টাচার্য্য

কর্মসূত্রে আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালি। তবে বছরের বাকি দিনগুলোতে যে যেখানেই থাকুক না কেন, পুজোর কটা দিন মা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হন সকলেই। কেউ বাংলায় ফিরতে পারেন, কাউকে বা কর্মসূত্রে প্রবাসেই থাকতে হয়। কিন্তু তাই বলে দুর্গাপুজো (Durga Puja) নিয়ে কোন আপোষ নয়। আমেরিকা, কানাডা, জার্মানির পর এবার খবরে উঠে এল বেলজিয়ামের পুজো (Durga Puja in Belgium!। কালচারাল এসোসিয়েশন ইইউ(cultural association EEU), এন্টওয়ার্প এই নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মাতৃ আরাধনার আয়োজন করল। ঠিক যেন একটুকরো কলকাতা ধরা পড়ল সুদূর বেলজিয়ামে।

বৈদিক নিয়ম মেনে কালিকা পুরান মতে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী বন্দনার আয়োজন করা হয়েছে। মায়ের সাবেকি ধাঁচের তিন চালার মূর্তি তৈরির সব সরঞ্জাম এসেছে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। এবারের পুজোর থিম ‘মাতৃ রূপেন সংস্থিতা’, যেখানে এই বিশ্বের সকল মাকে উৎসর্গ করে কালচারাল এসোসিয়েশন ইইউ, এন্টওয়ার্প পুজোর আয়োজন করেছে। বিভিন্ন ভাস্কর্য, পেন্টিং এর মাধ্যমে সেজে উঠেছে পুজো মণ্ডপ। উদ্যোক্তা অঞ্জন ভট্টাচার্য (Anjan Bhattacharya) শুধুই যে এই পুজোর পুরোহিত তাই নয়, তিনিই আবার মাতৃমূর্তি নির্মাতাও বটে। বিদেশের মাটিতে এহেন উদ্যোগে তাঁর অংশীদার উপাসনা ভট্টাচার্য, অঞ্জন সরকার, জয়িতা ভট্টাচার্য, রোহান বিশ্বাস, ব্রততী দেব, আদিত্য , শুভম সরকার, পৌলমী দাস সরকার, মৃগাঙ্কো বিশ্বাস, রাজর্ষি মিত্র,দেবজিৎ সেনগুপ্ত, সংঘমিত্রা সেনগুপ্ত সহ আরও অনেকে।

 

একদিকে অফিসের কাজ তার সঙ্গে আবার এত বড় পুজোর আয়োজন- কাজটা সহজ ছিল না । কিন্তু সকলের সদিচ্ছা আর ভালবাসায় অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল মিলেছে। নবরাত্রি মেনে গরবা নাচ আবার বাঙালিয়ানার তালে ঢাকের সঙ্গে ধুনুচি নাচের অনুষ্ঠান করার মধ্যে উদ্যোক্তাদের আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। রীতি মেনে কুমারী পুজোর করা হয়।চন্ডী পাঠ করেন পৌলমী দাস সরকার। পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আগত বাঙালি অবাঙালি সকলেই।

Previous article‘মহুয়া আমার সন্তানের মতো’, ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন থারুর
Next articleপ্রয়াত ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বিষাণ সিং বেদী