সবারে করি আহ্বান: রেডরোডের কার্নিভালে কার্ড ছাড়াও প্রবেশের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!

শাস্ত্রমেনে দশমীতে দর্পণ বিসর্জন হলেও বাংলার ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে সর্বজনীন করে তুলতে বিগত কয়েক বছরের মত এবারেও রেডরোডে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করেছে বাংলার সরকার (Government of West Bengal)।

বাংলার দুর্গোৎসব (Bengal’s Durga Puja) গোটা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। পুজোর কটা দিন নির্বিঘ্নে সকলের আনন্দ উপভোগের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরাই। নিজেরা হয়তো বাড়ি বা পরিবারকে সময় দিতে পারেননি, কিন্তু আমজনতা যাতে ঠাকুর দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে গেছেন। তাঁদের সকলকে এদিন ধন্যবাদ জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর পাশাপাশি আগামিকাল রেডরোডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে যে পুজো কার্নিভালের (Durga Puja Carnival in Red Road) আয়োজন করা হয়েছে সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সকলকে আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মহালয়া থেকে চুটিয়ে পুজো উপভোগ করেছেন বাঙালি অবাঙালি প্রত্যেকে। এবার মায়ের বিদায় নেওয়ার পালা। শাস্ত্রমেনে দশমীতে দর্পণ বিসর্জন হলেও বাংলার ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে সর্বজনীন করে তুলতে বিগত কয়েক বছরের মত এবারেও রেডরোডে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করেছে বাংলার সরকার (Government of West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী (CM) নিজেই সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এবারের কার্নিভালে ১০০টিরও বেশি পুজো কমিটি অংশ নিতে চলেছে। কার্নিভালের সূচনা হবে ডোনা গঙ্গোপাধ‍্যায় এর গ্রুপের নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে। গোটা রেড রোডের দুদিকে কার্নিভালের অনুষ্ঠান দেখার জন্য প্রায় ১৮ হাজার দর্শকদের বসার জায়গা করছে রাজ্য। এবারের কার্নিভালের অনুষ্ঠানে থাকছেন বিদেশি অতিথিরাও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দেশের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধিদেরও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউনেস্কোকেও। বাংলার বিশিষ্ট থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি প্রত্যেকেই থাকবেন। তাই বলে মা মাটি মানুষের সরকার বাংলার আম জনতাকে ভুলে যায়নি। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান যে, ২৭ তারিখের কার্নিভালে সকলেই অংশ নিতে পারবেন। এমন নয় যে কার্ড ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। পর্যাপ্ত চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাই আনন্দ করে সকলে এই অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। এরপরও যদি দেখা যায় যে চেয়ারের থেকে মানুষের সংখ্যা বেশি সেক্ষেত্রে মাটিতেও বসার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রেডরোডে যতদূর পর্যন্ত আসন সংখ্যা বিস্তৃত করা যায় সেই ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজো কার্নিভাল সকলের অনুষ্ঠান তাই সেখানে সবাই যাতে উপস্থিত হতে পারেন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিয়েছে প্রশাসন। তবে মাথায় রাখতে হবে, যেহেতু অতিথি তালিকার দীর্ঘ এবং অনুষ্ঠানও বেশ লম্বা হতে চলেছে সেই কারণে একটু আগে থেকেই কার্নিভালে পৌঁছে গেলে সুবিধা হবে। যাঁদের কাছে এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র নেই তাঁরাও এবারের পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আনন্দ বিতরণে বাংলার মানুষের জন্য দরাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleহঠাৎ বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার, হেঁয়া.লিতেই ভাই.রাল অনুষ্কা!
Next articleবিশ্বকাপে বড় ধাক্কা ভারতের, ইংল‍্যান্ড ম‍্যাচেও নেই হার্দিক : সূত্র