টানা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধাননগরের বাড়ি থেকে আজ, শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপুল টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আজ, শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে মন্ত্রীকে।

ইডির দপ্তরে ঢোকার আগে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম আমি’। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে গতকালই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘ওদের (বিজেপি) প্রতিহিংসার সীমা ছাড়াচ্ছে! বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে, ঠিক সেই সময়ে ভোরে বালুর বাড়ি রেড হচ্ছে। ক্ষমতায় আছে বলে সব করছে। কিন্তু ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না! নতুন প্রজন্ম আসবেই।’

এদিন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাউকে গ্রেফতার করা মানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়া নয়। আগেও অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। তাঁদের বিচার এখনও চলছে। বিজেপি বুঝতে পারছে বাংলায় তাঁদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। পরের লোকসভা ভোটেও জনসমর্থন পাবে না। তাই প্রশাসনিক নয়, তদন্তকারী সংস্থাকে এভাবে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের একে একে জেলে পাঠাচ্ছে।”


বনমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে সরব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর নিশানায় বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তদন্তকারী সংস্থাকেও একহাত নিয়ে তিনি বললেন, “শুভেন্দু ও বিজেপি ওয়াশিং মেশিন রাজনীতি করছে। এটা ষড়যন্ত্র নাহলে এতদিনে তাঁরই জেলে থাকার কথা।”


আরও পড়ুন:এথিক্স কমিটির বৈঠকে মহুয়ার পাশে জোটসঙ্গীরা, হল ভোটাভুট
