ট্রেনের (Indian Railways) অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে। আচমকাই মোবাইলে মেসেজ এল, ট্রেন লেটে চলছে। সবাই ভাবলেন কতই বা দেরি হবে! খুব বেশি হলে পাঁচ-ছয় ঘন্টা! অবশেষে ১৩ ঘন্টা পর দেখা মিলল ট্রেনের। প্রায় এক বেলা দেরিতে ট্রেন আসায় চরম সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। যার জেরেই ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন এক যাত্রী। আর তারপরই ভারতীয় রেলওয়েকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ (Compensation) দিতে নির্দেশ দিল আদালত। সম্প্রতি কেরলের এরনাকুলাম জেলা কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের তরফে ভারতীয় রেলওয়েকে জরিমানা করা হয়।

অভিযোগকারী কার্তিক মোহনকে ওই ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে রেলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ট্রেন ১৩ ঘণ্টা লেট করায় যাত্রীকে যে অসুবিধা, মানসিক যন্ত্রণা ও আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে, তার কারণেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। কার্তিক মোহন নামক ওই যুবক চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি কেরলের এরনাকুলাম থেকে চেন্নাই যাওয়ার জন্য ২২৬৪০ আলাপুজ্জা-চেন্নাই এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। চেন্নাইয়ে অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই যুবকের, কিন্তু ট্রেন ১৩ ঘণ্টা দেরি করে আসায় তিনি মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। ওই ট্রেনে একাধিক নিট পরীক্ষার্থীও ছিল, তারাও পরীক্ষায় বসতে পারেননি বলে অভিযোগ।

এরপরই রাগে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে ওই যুবক হেনস্থার অভিযোগ জানান। ভারতীয় রেলওয়ের কাছে ট্রেন দেরিতে আসার কারণ জানতে চাওয়া হলে, রেলের তরফে জানানো হয়, চেন্নাই ডিভিশনের আরাক্কানমে রেললাইন সংস্কারের কাজ হওয়ার কারণে দেরি হয়েছিল। ট্রেন লেটের বিষয়টি সমস্ত যাত্রীদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল এবং বিকল্প পরিবহনের পরামর্শও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ রিফান্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের তরফে বলা হয়, যাত্রীর সময়ের গুরুত্ব কখনওই অবহেলা করা যায় না। অপ্রত্যাশিত এই দেরির কারণে যাত্রীদের নানা সমস্যা ও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।
