কেরলের এর্নাকুলামে পরপর বি.স্ফোরণ! মৃ.তের সংখ্যা বাড়ার আ.শঙ্কা প্রশাসনের  

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদিকে দুর্ঘটনায় জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড।

ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Blasts) কেঁপে উঠল কেরলের (Kerala) এর্নাকুলাম (Ernakulam) এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে কালামাসেরি এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে (Convention Centre) বিস্ফোরণ হয়। দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ৩৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। এদিন সকাল ৯টায় প্রথম বিস্ফোরণ হয়। পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে আরও দুবার বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময়ই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, নাশকতার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনআইএ (NIA) দল। এদিকে কেরলে পরপর বিস্ফোরণে উদ্বিগ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ফোন করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এদিকে দুর্ঘটনায় জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড। তবে বিস্ফোরণের পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এর্নাকুলামের একটি কনভেনশন সেন্টারে প্রার্থনাসভা চলছিল। উপস্থিত ছিলেন কমপক্ষে ২ হাজার জন। প্রার্থনা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রথম বিস্ফোরণ হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কনভেনশন সেন্টারের ভিতর থেকে যখন পালানোর চেষ্টা করছিলেন সকলে, তখন কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে পরপর আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ১ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৩৬ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। তবে এদিন কেরল পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। বিস্ফোরকগুলি রাখা ছিল টিফিন বক্সে। রবিবার সকালে এর্নাকুলামের দারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতাই, কোনও দুর্ঘটনা নয়। কেরল পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হবে। কেরলের পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস-এর মতো কোনও বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে। তবে, কী ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা বিশদ ফরেনসিক পরীক্ষার পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন মাত্র ৫-১০ সেকেন্ডের মধ্যেই পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক টিম। এটা বোমা বিস্ফোরণ নাকি এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

 

 

 

Previous articleকৃষ্ণসার মারেননি সলমন!!
Next articleস্থিতিশীল হলেও হাতে জোর পাচ্ছেন না! চিকিৎসকদের জানালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক