আর কয়েক মাসের অপেক্ষা। বছর ঘুরলেই বাজবে লোকসভা ভোটের দামামা। কিন্তু তার আগে প্রবল চাপে বঙ্গ বিজেপি। দলের নিচুতলায় ক্ষয়ের ধারা অব্যাহত। একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ছেন। ফলে ক্রমেই ছোট হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির পরিষদীয় দল। ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তার মধ্যে দুই সাংসদ নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার জিতেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিজেপি শক্তি কমে হয় ৭৫। তারপর থেকে গত দু’বছর ধরে বিধানসভায় বিজেপির ‘রক্তক্ষরণ’ অব্যাহত। ইতিমধ্যেই সাতজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ধুপগুড়ির বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে খালি হওয়া আসনও জোড়াফুল শিবির দখল করে নিয়েছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আইনসভায় বিজেপির ৬৭ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে বিধানসভার পরিষদীয় দল আরও ভাঙার আশঙ্কা করছে খোদ গেরুয়া শিবিরের নেতারাই। দলের একটা বড় অংশ এই ভাঙনের জন্য সরাসরিবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ব্যর্থতাকেই দায়ী করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, দলের বিধায়কদের আগলে রাখার দায়িত্ব পরিষদীয় দলনেতার। কিন্তু বিধায়কদের একটা বড় অংশের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতা মুষ্টিমেয় কিছু বিধায়ককে নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি করেছেন। সংশ্লিষ্ট ওই বিধায়করা ছাড়া বাকিদের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তৃণমূল সেই বঞ্চিত বিধায়কের টার্গেট করে নিজেদের দলে টানছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না বলেই দাবি বিজেপির একাংশের।
আরও পড়ুন:নির্বিঘ্নে মিটেছে উৎসব, পুলিশ ও সহকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
