বা.জির শব্দের ঊর্ধ্বমাত্রা বাড়ানো মামলায় হস্তক্ষেপ নয়! ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা তলব হাই কোর্টের

তবে সবুজ বাজিতে দূষণ কম হলেও শব্দ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার শুনানিপর্বে বিচারপতি সেই প্রশ্নই তুলে ধরেন। তিনি জানতে চান, সবুজ বাজিতে রূপান্তরিত হলে শব্দ কম হয় নাকি বেশি?

0
1

বাজির (Fire Crackers) শব্দের ঊর্ধ্বমাত্রা বাড়ানোর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে মামলা। যদিও এই মামলায় এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হলফনামা তলব করা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাজির শব্দসীমা ৯০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়।

এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সবুজ মঞ্চ নামে একটি সংস্থা। শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, যে সময় সবুজ বাজি বা পরিবেশ বান্ধব ছিল না, তখন শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল ছিল। তবে ২০১৮ সাল থেকে বাজারে সবুজ বাজি এসেছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। তবে সবুজ বাজিতে দূষণ কম হলেও শব্দ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার শুনানিপর্বে বিচারপতি সেই প্রশ্নই তুলে ধরেন। তিনি জানতে চান, সবুজ বাজিতে রূপান্তরিত হলে শব্দ কম হয় নাকি বেশি?

উত্তরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায়, যেখানে বাজি ফাটানো হতো সেই জায়গা থেকে ৫ মিটারের দূরত্ব ধরে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বাজি ফাটানোর জায়গা থেকে ৪ মিটারের দূরত্ব ধরে সেটি ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। এরপরই আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে হাইকোর্টে হলফনামা দেবে রাজ্য এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।