দূ.ষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে রাজধানীতে,নির্মাণ কাজ নি.ষিদ্ধ

টানা ষষ্ঠ দিনেও দিল্লির বাতাসের গুণমানের কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা গেল না। বুধবারেও রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)।সিপিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাতাসের গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৩৭৩। সকাল থেকেই রাজধানীর বুকে একটা ধোঁয়াশার আস্তরণ দেখা গিয়েছে।বুধবার দিল্লির একিউআই ছিল ৩৫১। এই মরশুমে বুধবার রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ ছিল।বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতিকেও ছাপিয়ে গেল।

রবিবার থেকে বাতাসের গুণগত মান ক্রমেই খারাপ হয়েছে রাজধানীতে। সিপিসিবির তথ্য বলছে, রবিবার একিউআই ছিল ৩২৫। সোমবার সেটি ৩৪৭-এ পৌঁছয়। সোমবার দিল্লির বেশ কিছু এলাকার বাতাসের গুণগত মান ‘খুব খুব খারাপ’ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে জহাঙ্গিরপুরী। সেখানে একিউআই পৌঁছয় ৫৬৬-তে। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান ক্রমশ খারাপ হতে থাকায়, দূষণ ঠেকাতে এ বার ডিজেলচালিত বাসের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি সরকার।

লাগাতার ছয় দিন রাজধানী দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ আবারও ঘরবন্দি করছে দিল্লির  মানুষকে। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে বেশ কিছু নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে দূষিত বাতাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য। উল্লেখ্য, ৩০১ থেকে ৪০০-র  মধ্যে বায়ুর গুণগত মান  থাকলে তা ‘খুব খারাপ’ ধরা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে দূষণের সঙ্গে ছিল  কুয়াশা । এদিন  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আনন্দ বিহার, বাওয়ানা, মুন্ডকা এবং পাঞ্জাবি বাগের বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে বায়ুর গুণমান সূচক ( এ কিউ আই) গুরুতর বিভাগে । রাজধানীর ২৮টি মনিটরিং সেন্টারেই  এ কিউ আই লেভেল  খুবই খারাপ বিভাগে রয়েছে।

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে  খড় পোড়ানোর ঘটনা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা  আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে দূষণের আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সতর্কতাও জারি করেছেন ।পরিবেশবিদদের মতে নভেম্বরের শুরুতেই যেভাবে ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজধানী তা দিল্লির জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, কারণ বায়ুর গুণমান সূচক ইতিমধ্যে অনেক এলাকাতেই ৪০০ পেরিয়ে গেছে।  চিকিৎসকদের মতে এতে শিশু ও বয়স্কদের হাঁপানি ও ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে।

দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন যে,  টানা পাঁচদিন গুনগত মান ৪০০ র ওপরে থাকলে  রাজধানী সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ করা  হবে। ইতিমধ্যেই সরকার যানবাহন দূষণ রোধ করতে “লাল আলো অন গাড়ি বন্ধ” চালু করেছে এবং যানবাহন দূষণ কমাতে ১ হাজার টি সিএনজি বাস ভাড়া করার পরিকল্পনা করেছে।

Previous articleপিছিয়ে থেকেও দুরন্ত জয়, জামশেদপুরকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কী বললেন বাগান কোচ?
Next articleগেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা! নির্বাচনের আগে পদ্ম ছেড়ে হাত শিবিরে প্রাক্তন সাংসদ বিবেক