পিছিয়ে থেকেও দুরন্ত জয়, জামশেদপুরকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কী বললেন বাগান কোচ?

অসুস্থতা ও চোটের কারণে খেলতে পারেননি মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস ও স্ট্রাইকার জেসন ক‍্যামিংস।

বুধবার আইএসএল-এর ম‍্যাচে এক গোলে পিছিয়ে পরেও জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে দুরন্ত জয় পায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এই জয়ের ফলে টানা চতুর্থ জয়ে আবারও লিগ টেবিলের শীর্ষে সবুজ-মেরুন। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। আর এই জয়ে খুশি বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আমি খুশি সমর্থকদের ও খেলোয়াড়দের জন্য। গত সপ্তাহে আমাদের শিবিরে অনেকেই অসুস্থ ছিল।

অসুস্থতা ও চোটের কারণে খেলতে পারেননি মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস ও স্ট্রাইকার জেসন ক‍্যামিংস। তাঁদের জায়গায় মাঠে নামেন হেক্টর ইউস্তে, গ্ল্যান মার্টিন্স ও আরমান্দো সাদিকু। তাঁরাই যথেষ্ট ভাল খেলে দলকে জয় এনে দেন। এই নিয়ে জুয়ান বলেন,”আমি খুশি সমর্থকদের ও খেলোয়াড়দের জন্য। গত সপ্তাহে আমাদের শিবিরে অনেকেই অসুস্থ ছিল। এখনও আছে। তবে এটাই ফুটবল, এসব সত্বেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আনোয়ার, আশিক, জেসন, হুগো কেউই তো খেলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও যে জিতেছি, সেজন্য আমি খুশি। যারা খেলেছে, আরমান্দো, গ্ল্যান তারা খুবই ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে আমাদের দলে খুব শীঘ্রই ভারসাম্য আনতে হবে। খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে হবে যাতে তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের।”

দু’দিন আগে অনুশীলনে চোট লাগে হুগো বুমৌসের। তার আগে থেকেই জ্বরে কাবু জেসন ক‍্যামিংসও। আনোয়ার আলি ও আশিক কুরুনিয়ান কবে মাঠে ফিরবেন, এখন কেউই নিশ্চয় করে বলতে পারছেন না। এই নিয়ে বাগান কোচ বলেন,”হুগো ও ক‍্যামিংসকে নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে আশা করি ওরা পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। জেসনের জ্বর, সর্দি সারানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। আমিও গত সপ্তাহে একই সমস্যায় পড়েছিলাম। তাই জানি, অন্তত দু-তিন দিন লাগে এটা সারতে। তবে সবার ক্ষেত্রে একই সময় লাগে না। এখন খেলোয়াড়দের দু’দিন লাগবে রিকভারির জন্য। তারপর দেখব, কে কতটা সুস্থ। সেই অনুযায়ী পরবর্তী এএফসি কাপের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করব।”

আরও পড়ুন:লঙ্কানদের বিরুদ্ধে নামার আগে হঠাৎই নাচ কোহলির, সঙ্গী কে?

Previous articleবাইক দুর্ঘ.টনায় রাস্তায় ছি.টকে পড়লেন পরিচালক, সেলফিতে মজলেন স্থানীয়রা!
Next articleদূ.ষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে রাজধানীতে,নির্মাণ কাজ নি.ষিদ্ধ