বিলম্বিত হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া! সানি দেওলের সংলাপ মনে করিয়ে উ.দ্বেগপ্রকাশ প্রধান বিচারপতির  

দামিনি ছবিতে সানি দেওলের ‘তারিখ পে তারিখ’ ডায়লগ বিখ্যাত। আর তারই একটি অংশ তুলে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা চাই না আমাদের আদালতগুলো তারিখ পে তারিখ আদালত হয়ে থেকে যাক।

এবার বলিউড অভিনেতা (Bollywood Actor) সানি দেওলের (Sunny Deol) সংলাপ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) গলায়। শুক্রবার দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এভাবে চলতে থাকলে শীর্ষ আদালতও ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালতে পরিণত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। যার ফলে সুপ্রিম কোর্টেও ন্যায়বিচার পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফলে, সুপ্রিম কোর্টের উপর সাধারণ মানুষ আস্থা হারাবেন।

দামিনি ছবিতে সানি দেওলের ‘তারিখ পে তারিখ’ ডায়লগ বিখ্যাত। আর তারই একটি অংশ তুলে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা চাই না আমাদের আদালতগুলো তারিখ পে তারিখ আদালত হয়ে থেকে যাক। এতে বিচারব্যবস্থার দ্রুত বিচার পাইয়ে দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা কিছুতেই সফল হবে না। প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে মাত্র একমাসেই মোট ৩,৬৮৮টি মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ এসেছে আইনজীবীদের কাছ থেকে। তিনি আরও জানান, ৩ নভেম্বরের জন্য আমাদের কাছে ১৭৮টি মামলার শুনানি মুলতবি রাখার অনুরোধ রয়েছে। অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দিনে গড়ে ১৫০টির বেশি মামলা মুলতবি রাখার স্লিপ জমা পড়েছে আমাদের কাছে। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এইভাবে মোট ৩,৬৮৮টি স্লিপ জমা পড়েছিল। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করা হচ্ছে।

চন্দ্রচূড় জানান, একদিকে আইনজীবীরা প্রতিদিনই জরুরী তালিকাভুক্তির জন্য বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও অন্যদিকে মামলা তালিকাভুক্ত হলে মুলতবি চান। এর ফলে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পতির উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, সেপ্টেম্বর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫৮টি করে মামলার উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতেও বলা হয়েছে। কিন্তু, অন্যদিকে আবার শুনানি স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। একদিকে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করা হয়, কিন্তু, অন্যদিকে মামলা স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়। এতে আদালতের উপর নাগরিকরা আস্থাকে হারাবেন। দেশে আমাদের আদালতের খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

Previous articleতদন্তের নামে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি: বঙ্গে পা রেখে সরব ইয়েচুরি
Next articleটিকিটের কালোবাজারি নিয়ে তৎপর পুলিশ, তলব CAB- কে : সূত্র