দেশজুড়ে বেকারত্বর হার বেড়ে ১০শতাংশের বেশি! পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে অস্বস্তিতে বিজেপি

বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এক্ষেত্রেও সেই ১৫ লাখের গল্প, এক্ষেত্রেও জুমলা

দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করবেন। বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এক্ষেত্রেও সেই ১৫ লাখের গল্প, এক্ষেত্রেও জুমলা। মোদির চাকরি প্রতিশ্রুতি তো বাস্তবায়ন হয়নি, উল্টে বেকারত্ব ভেঙে দিয়েছিল গত ৪৫ বছরের রেকর্ড। পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট ও আগামী বছর ভোটের আগে এই তত্ত্ব সামনে আসতেই প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির।

নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে তড়িঘড়ি আসরে নেমে পড়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ‘রোজগার মেলা’ করে প্রতি মাসে হাজার পঞ্চাশেক নিয়োগপত্র বিলি করে যাচ্ছেন তিনি। সর্বত্র ফলাও করে চলছে তার প্রচার। তারপরেও কর্মসংস্থানের হাল আরও তলানিতে।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে ১০.০৯ শতাংশে। গত দু’বছরেরও বেশি সময়কালে যা সর্বাধিক। শোচনীয় অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। সেখানে এই হার ৬.২ শতাংশ থেকে একধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১০.৮২ শতাংশ। কর্মসংস্থানে এমনই বেহাল দশা উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমির রিপোর্টে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বেকারত্ব ইস্যুতে সরকারি পরিসংখ্যানই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল মোদি সরকারকে। কারণ, গত ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৬.১ শতাংশ। সরকারি তথ্যই তখন অদ্ভুতভাবে অস্বীকার করে কেন্দ্র। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যস্ত মোদি।

সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা সিএমআইইর চিফ এগজিকিউটিভ মহেশ ব্যাস স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘গত পাঁচ বছরে ভারতে কর্মসংস্থান বাড়েনি।’ এই নিরাশাজনক ছবি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির সমস্যা আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

Previous articleসুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি  
Next articleইজরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যু.দ্ধে ইরান! লেবানন সীমান্তে ইমাম হুসেন ব্রিগেড