মনোনয়ন জমা দিয়েও দলে কো.ণঠাসা বসুন্ধরার মুখে ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’!

রাজস্থানের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে কোণঠাসা বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje)। গেরুয়া শিবির কোনও ভাবেই তাঁকে ভাবছে না মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে। এই পরিস্থিতিতে ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ নেওয়া কথা বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেত্রীর গলায়। যদিও, ভোটে লড়তে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।

২০০ আসনের রাজস্থান (Rajasthan) বিধানসভায় ২৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস শাসিত মরুরাজ্য জল মাপার ভোট এটি। কিন্তু এই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বসুন্ধরাকে তুলে ধরতে নারাজ বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ঝোলোয়ারে একটি জনসভায় পুত্র দুশ্যন্ত সিংয়ের উপস্থিতিতেই রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, “মনে হচ্ছে, আমি এখন অবসর নিতে পারি।”

দুশ্যন্ত সিং ঝালোয়ারের সাংসদ। সেখানেই দলের হয়ে প্রচারে যান মা-ছেলে। দুশ্যন্তের পরে বক্তব্য রাখতে উঠে বসুন্ধরার (Vasundhara Raje) মন্তব্য, “ছেলের বক্তব্য শোনার পর মনে হচ্ছে, আমি এবার অবসর নিতে পারি। তালিম দিয়ে ওকে আপনারা উপযুক্ত করে তুলেছেন। আর আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই।” বিজেপি নেত্রীর কথায়, “সমস্ত বিধায়ক এখানে রয়েছেন। আমার মতে, তাঁদের উপরেও নজরদারির প্রয়োজন নেই, তাঁরা নিজেরাই মানুষের জন্য কাজ করবেন।” ঝালোয়ারে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মুখে যাই বলুন, বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন বসুন্ধরা। ঝালোয়ার বিধানসভা আসন থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তবে, তাঁকে মুখ করে মরুরাজ্যে ভোটে লড়ছে না বিজেপি শিবির।

 

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিভক্ত রাজস্থান বিজেপিতে বসুন্ধরা অনেকেরই চক্ষুশূল। তার জায়গায় পাল্লা ভারী জয়পুরের প্রাক্তন মহারাজা দ্বিতীয় মানসিংয়ের নাতনি, রাজসমন্দ কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রানি দিয়া কুমারীর। রাজস্থানে বিজেপি জাতীয় হেভিওয়েট নেতাদের প্রচারাভিযানে যাবতীয় আয়োজনের তদারকিতে দেখা যাচ্ছে দিয়া কুমারীকে৷ অনেকের মতে, শিক্ষিত, অভিজাত দিয়া কুমারীকেই মুখ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কথা হয়ত পৌঁছেছে বসুন্ধরার কানেও। সেই কারণেই কি মুখে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের কথা! প্রশ্ন নানা মহলে।

Previous articleরাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের ”অ.নুপ্রবেশকারী” বলে তো.প শিক্ষামন্ত্রীর
Next articleচাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্র.তারণা, পুলিশের জালে ভুয়ো ‘সিআইডি অফিসার’