মহারণের আগে কালোবাজারি কাণ্ডে ময়দান থানায় হাজির CAB-র কর্তারা

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯০০ টাকার টিকিট ৮০০০ টাকায় বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।

রবিবার ইডেনে বিশ্বকাপের মহারণ। তবে তার আগে শনিবার সকালে ময়দান থানায় হাজির  সিএবি কর্তারা। ক্রিকেটের নন্দনকাননে রবিবার বিশ্বকাপের ম‍্যাচে ভারতের মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম‍্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। টিকিটের হাহাকার। আর এরই মধ‍্যে এই ম্যাচের টিকিট নিয়েই কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে উত্তাল সিএবি। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ময়দান থানায় টিকিট ব্ল্যাকের অভিযোগে এফআইআরও করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় সিএবি  এবং টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সংস্থা বুক মাই শোয়ের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছিল ময়দান থানার পুলিশ। শুক্রবারই ময়দান থানায় গিয়ে দেখা করে আসেন বুক মাই শোয়ের প্রতিনিধিরা। আর এদিন গেলন সিএবির কর্তারা।

চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে টিম ইন্ডিয়া। সেই  সুবাদে রবিবারের ম‍্যাচ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ‍্যে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। বিক্ষোভ করছেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সদস্যেরা। উঠছে কালোবাজারিও অভিযোগ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯০০ টাকার টিকিট ৮০০০ টাকায় বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। তাদের নাম শুভ্রদীপ ভট্টাচার্য, সুমন সর্দার এবং সন্দীপন লাহা। তাঁদের কাছ থেকে ১৭টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের তরফে আরও জানান হয়েছে, টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯৪টি টিকিট। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, ময়দান এবং এন্টালি, কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।

কলকাতায় ম্যাচের টিকিট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে। অভিযোগ ওঠে কালোবাজারির। এই প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ” টিকিটের চাহিদা থাকবেই। সিএবি-র পক্ষে টিকিটের কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। তারা তো আর মহামেডান মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না। এই দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে। ভারত ফাইনালে উঠে গেলে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেও টিকিটের হাহাকার থাকবে। এখানেও রয়েছে। একবার সিএবি বা বিসিসিআই-এর কাছ থেকে টিকিট বেরিয়ে গেলে কিছুই করার থাকে না।”

Previous articleসক্রিয় হচ্ছে ভূক.ম্পন বলয়, যেকোনও মুহূর্তে কেঁ.পে উঠতে পারে হিমালয়!
Next articleইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে সুনাকের সঙ্গে কথা মোদির