অ.স্বস্তি বাড়ল দলবদলু শুভেন্দুর দাদার! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

বড় অস্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারী (Krishnendu Adhikary)। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) দ্বারস্থ হল রাজ্য। শুভেন্দুর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ পুলিশের পাঠানো নোটিশ খারিজের পাশাপাশি এগরার এসডিপিওকে ব্যক্তিগত ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশি দেন। পাশাপাশি বিচারপতি সাফ নির্দেশ দেন, হাই কোর্ট থেকে আগাম অনুমতি না নিয়ে কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে কোনও নোটিশ পাঠানো যাবে না।

সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ সালে পল্লব দত্ত নামে কাঁথির এক বাসিন্দা অভিযোগ তোলেন, রাস্তার এলইডি লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে বড় দুর্নীতির সাক্ষী কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী। একই মামলায় শিশিরের আরও এক ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকেও নোটিশ দেয় পুলিশ। এরপর এফআইআর দায়ের হয় ও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কৃষ্ণেন্দুর দাবি, মূল অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু চার বছর আগের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ, সাক্ষ্য দেওয়ার সময় শেষ ১০ বছরের আইটি রিটার্ন জমা দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। সাক্ষী হিসেবে ডেকে কেন আইটি রিটার্ন চাওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন কৃষ্ণেন্দু। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দুর দাদা।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠলে কৃষ্ণেন্দুকে দেওয়া নোটিশ খারিজের নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও নোটিশ ও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না তাঁর বিরুদ্ধে।

 

 

 

Previous articleরাজধানীর বঙ্গভবনে ‘বাংলার শাড়ি’-র বিপণির ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleপর্যটনক্ষেত্রকে শিল্পের স্বীকৃতি, সবুজ সংকেত মন্ত্রিসভায়