পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ চম্পাহাটির বা.জি ব্যবসায়ীদের

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বা.জি কারখানায় বি.স্ফোরণের ফলে কার্যত সরকারি নিষে.ধাজ্ঞা জারি হয়েছিল বা.জি তৈরির ক্ষেত্রে। দীর্ঘ ১১ মাস বা.জি তৈরি বন্ধ ছিল এই হারাল গ্রামেও।

কালীপুজো আর দীপাবলি মানেই বাজি শিল্প। যদিও এবার রাজ্যে একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর কড়াকড়ি বেড়েছে। একাধিক চেনা বাজারে দেখা মিলছে না প্রিয় চকোলেট, পটকা, দোদোমার মতো শব্দবাজি। পরিবেশবান্ধব বাজির জোগান কম। তাই রাজ্যবাসীদের ভরসা দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির বাজি বাজার। চিরকালই বাজিশিল্পের এই জেলা বিখ্যাত। এবারও কালীপুজোর আগে ভিড় বাড়ছে চম্পাহাটিতে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে রকমারি বাজি কিনছেন চম্পাহাটি বাজি বাজার থেকে।

শব্দবাজিতে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তাই ক্রেতারাও শব্দবাজি থেকে আতসবাজিতেই মজেছেন। চম্পাহাটির বাজারে বিকল্প হিসেবে রঙিন বাজি কেনার ঝোঁক অনেকটাই বেশি। বিক্রেতারাও জানাচ্ছেন সেই কথা।এদিকে বিশ্বকাপের ফাইনাল আছে আগামী সপ্তাহে। বিক্রেতারা মনে করছেন, কালীপুজো আর বিশ্বকাপ একসঙ্গে থাকায় তাঁদের পসার জমে উঠেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে কার্যত সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল বাজি তৈরির ক্ষেত্রে। দীর্ঘ ১১ মাস বাজি তৈরি বন্ধ ছিল এই হারাল গ্রামেও। অবশেষে সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত বাজি কারখানাগুলি বাজি তৈরির অনুমতি পায় মাত্র একমাস আগে। হাতে সময় কম থাকলেও দীপাবলির আগে সকলেই চেষ্টা চালিয়ে বাজি তৈরির কাজ শুরু করেন দ্রুত গতিতে। অন্যান্য বছরের মত যোগান না থাকলেও দীপাবলির আগে বাজি প্রেমীদের হাতে নানা রঙের আতশবাজি তুলে দিতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এই বাজি গ্রামের মানুষরা।

এই গ্রামে কয়েক লাখ মানুষ এই বাজি শিল্পের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। সারা বছরের মধ্যে এই পুজোর মাসগুলির উপর নির্ভর করেই তাঁরা নানা ধরনের বাজি উৎপাদন করেন, সরকারি সমস্ত নির্দেশিকা মেনেই সকলে ব্যবসা করতে চান। এবার প্রশাসনিক সহযোগিতাও মিলেছে।এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে, কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু মানুষ।চম্পাহাটি হাড়াল গ্রিন বাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অর্জুন মণ্ডল জানান, ৪০০ জনকে বাজি বিক্রির বৈধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে ৪ থেকে ৫ জন গ্রিন বাজি তৈরির ছাড়পত্র পেয়েছেন। বাজি ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ীরা।

Previous articleচাঁদনি চকের মার্কেট কমপ্লেক্সের বহুতলে আ.গুন! ঘটনাস্থলে দম.কলের তিনটি ইঞ্জিন
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল -ডিজেলের দাম