কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (KLO)-এর নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শনিবার গভীর রাতে এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল বক্সিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেএলও-র নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বারকোদালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বারকোদালি গ্রামের বাসিন্দা সুরেশচন্দ্র পালের বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়। সুরেশের পাথর ভাঙার ক্রেসার মিল রয়েছে।

তৃণমূলের টিকিটে জিতে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। পরে পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদেও ছিলেন। এদিকে ব্যবসার কারণে অসমে যেতে হয় সুরেশকে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার সকালে প্রথম কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নামে করে সুরেশের মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ফোনে তাঁকে বলা হয়, তাঁর বাড়ির পিছনে একটি চিঠি রাখা আছে। সেই চিঠিটা পড়তে। চিঠি পেয়েই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই তৃণমূল নেতা। শনিবার বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে আসা নম্বরের সূত্র ধরে শনিবার রাতে বারকোদালি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বটতলা এলাকার বাসিন্দা জনক বর্মন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।