শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তারপরেই বোমা ফাটালো তৃণমূল। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ডবল ইঞ্জিন সরকারের অবনতির রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, গত ন’বছরে দেশের মধ্যে ক্রমশ সবদিক থেকেই নীচের সারিতে নেমে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)।

আর্থ-সামাজিক ভিত্তিতে করা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রতিবেদন আকার প্রকাশ করা হয়েছে ‘দ্য হিন্দু’তে। সেই প্রতিবেদন তুলে ধরেই বিজেপিকে তুলোধনা করেছে বাংলার শাসকদল। লেখা হয়েছে,
“মনে হচ্ছে বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন কি সরকার’ নেতিবাচক ফল দিচ্ছে! গত ২০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় বিজেপি। তার মধ্যে মোদি সরকার ন বছরেরও বেশি সময়ে কেন্দ্রে রাজত্ব করেছে। তবুও, রাজ্যটি আজ বেশিরভাগ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মাথাপিছু এনএসডিপি এবং শিল্প প্রবৃদ্ধি সবই তলানিতে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং স্বপ্ন পূরণ না করাই মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ধারাবাহিকতা!”

.@BJP4India's 'Double Engine ki Sarkar' seems to be yielding negative returns!
For 18 of the last 20 years, the party has held sway in Madhya Pradesh, while PM @narendramodi's government has reigned at the Centre for more than 9 years.
Yet, the state today languishes at the… pic.twitter.com/F1avHDg3Kp
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 18, 2023
যেকোনো রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডবল ইঞ্জিন সরকারের ঢাক পেটান। একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখানো হয়, যে কেন্দ্রে এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকলে সেই রাজ্যে প্রবল উন্নয়ন হবে। অথচ বাস্তবে চিত্রটা একেবারেই উল্টো। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ হোক অথবা অসম, ত্রিপুরা বা মধ্যপ্রদেশ- উন্নয়নের নিরিখে দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ওই রাজ্যগুলি। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) বারবারই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ডের ভিত্তিতে আলোচনায় বসুন। দেখিয়ে দেব পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কতটা হয়েছে, আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কী উন্নয়ন করেছেন। যদিও সেই সাহস দেখাতে পারেননি বিজেপির কোনা নেতাই। এবার পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে এখন এবারের মধ্যপ্রদেশবাসীর রায় কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।