‘ফাইনালে আমাকে মাঠে ডাকা হয়নি’, অভিমানী ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিলদেব

পুরো দলকে ডাকা হয়নি, তাই নিজেও আমেদাবাদের পথে পা বাড়াননি কপিল।

ভারতের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশবাসী। কানায়-কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামে যেন চাঁদের হাট বসেছিল। বিনোদন থেকে ক্রিকেটজগৎ বাদ ছিল না কেউই। তবে যার হাতে এই উত্থান তিনিই ছিলেন উপেক্ষিত। বিসিসিআইয়ের আমন্ত্রণ থেকে বঞ্চিত ১৯৮৩ বিশ্বকাপের নায়ক কপিলদেব। এই প্রসঙ্গে কী বলছেন কপিলদেব?

তিনি বলেছেন, ”আমাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আমাকে কেউ ফোনই করেনি। তাই আমি আর যাইনি। আমি চেয়েছিলাম ৮৩-র গোটা দলটা যেন সেখানে উপস্থিত হয়। তবে এটা বড় একটা যজ্ঞ। বিভিন্ন ইভেন্ট সামাল দিতে ব্যস্ত সবাই। কখনও কখনও ভুল হয়ে যায়।”

ক্রিকেট বিনোদনের সঙ্গে ছিল নানা চমক। গান, নাচ, এয়ার শো বাদ ছিল না কিছুই। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে বিশ্বজয়ী সব অধিনায়ককে আমন্ত্রণের চিঠি পাঠিয়েছিল আইসিসি। প্রত্যাশা ছিল পুরো দল নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখবেন। তবে পুরো দলকে ডাকা হয়নি, তাই নিজেও আমেদাবাদের পথে পা বাড়াননি কপিল।ভারতবর্ষের ক্রিকেটের চেহারাটাই বদলে দিয়েছিল ১৯৮৩’র বিশ্বকাপ। ভারতের সেই জয়ের নেপথ্য নায়ক ছিলেন হরিয়ানা হ্যারিকেন। ভারতের কাছে ৮৩’র বিশ্বকাপ রূপকথার মতোই। অতি বড় ক্রিকেট সমর্থকও ভাবতে পারেনি ভারত এমন কিছু করতে পারে। ভারতকে সেই জয় এনে দিয়েছিলেন কপিল।
তাই কপিলকে আমন্ত্রণ না জানানো মানতে পারছে না ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Previous articleফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন বিরাট-সিরাজ-রোহিতরা
Next articleফাইনালে অজিদের কাছে হেরে কী বললেন রোহিত?