আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৮৩৮
কেশবচন্দ্র সেন
(১৮৩৮-১৮৮৪) এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মসমাজের নেতা ছিলেন। ব্রাহ্মরা অব্রাহ্মণ কেশবচন্দ্রকে ‘ব্রহ্মানন্দ’ উপাধি দিয়ে ব্রাহ্মসমাজের আচার্যের পদে নিয়োজিত করেন। অসাধারণ বাগ্মিতা ও স্বদেশপ্রীতির জন্য দেশজোড়া খ্যাতি ছিল। প্রচলিত শিক্ষানীতি সংস্কারের জন্য ১৮৬২ সালে কলকাতা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্ম প্রচারের জন্য ইংল্যান্ডে গেলে রানি ভিক্টোরিয়া তাঁকে সংবর্ধিত করেন। পরে নববিধান নামে একটি নতুন ধর্মসম্প্রদায় গড়ে তোলেন। গীতা, ভাগবত ও বেদান্তের ভাষ্যের পাশাপাশি শ্রীচৈতন্য, গুরু নানক, খ্রিস্ট ও মুসলমান সাধকদের জীবনচরিত রচনা করেছিলেন।

১৮৭৭

করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়

(১৮৭৭-১৯৫৫) এদিন নদিয়ার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্র অনুসারী রোমান্টিক কবি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বঙ্গ মঙ্গল’ যখন নামবিহীন অবস্থায় প্রকাশিত হয়, তখনও তিনি ছাত্র। তাঁর লেখা অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে আছে ‘ঝরাফুল’, ‘প্রসাদী’, ‘শান্তিজল’ ইত্যাদি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী পদক’ পেয়েছিলেন।


১৯১৩

অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়
(১৯১৩-১৯৮৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতনামা নায়ক ও গায়ক। প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ‘কাশীনাথ’-এ। হিন্দি ‘পরিণীতা’ ছবি থেকে নায়ক হিসেবে তিনি সর্বভারতীয় স্বীকৃতি লাভ করেন। ‘ওয়াপস’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গান ‘হাম কোচওয়ান, হাম কোচওয়ান’ তাঁকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দেয়। প্রায় একশোটি ছবিতে অভিনয় করেছেন অসিতবরণ।

১৯২৫

সলিল চৌধুরী
(১৯২৫-১৯৯৫) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের প্রতি ঝোঁক থেকেই তাঁর অজস্র গান লেখা ও সুর দেওয়া। নৌবিদ্রোহের সমর্থনে লিখেছিলেন ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে’। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা ‘রানার’ ও ‘অবাক পৃথিবী’র মতো কবিতায় তাঁর দেওয়া সুর স্মরণীয়। বাংলা গানের জগতে তাঁর লেখা ও সুর দেওয়া গান ‘ও আলোর পথের যাত্রী’, ‘হেঁই সামালো ধান’, ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূ’, ‘পথে এবার নামো সাথী’, ‘পথ হারাব বলেই এবার’ ইত্যাদি গান এক স্বতন্ত্র ধারার সৃষ্টি করেছিল। বাংলা গানের মতোই হিন্দি গানেও তাঁর বিচরণ ছিল সাবলীল।

১৯১৭

ইন্দিরা গান্ধী
(১৯১৭-১৯৮৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনিই এখনও পর্যন্ত ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ এবং পুনরায় ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন।

১৮৩১

তিতুমির

(১৭৮২-১৮৩১) ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় এদিন নিহত হন। তাঁর অন্য নাম মির নিশার আলি। ওয়াহবি আন্দোলনের অগ্নিহোত্রী ঋত্বিক। নারিকেলবেড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছিলেন। ১৪ নভেম্বর, ১৮৩১-এ তিতুমিরকে দমন করার জন্য ইংরেজ সৈন্যদল আসে। প্রথমে তারাও পরাজিত হয়। পরে ঘোড়সওয়ার বাহিনী ও কামানের সাহায্যে তারা বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করে। সেই যুদ্ধেই তিতুমির প্রাণ হারান।


১৮২৮

রানি লক্ষ্মীবাই
(১৮২৮-১৮৫৮) এদিন বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মণিকর্ণিকা তাম্বে। ঝাঁসির রানি। এই বীরাঙ্গনা সিপাহি বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী। তাঁর কথা লিখতে বসে কর্নেল ম্যালসন ‘সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস’-এ লিখেছিলেন, “… she lived and died for her country, We cannot forget her contribution for India.”

 

 

 

Previous articleToday’s market price: আজকের বাজারদর
Next articleরাস্তায় কচুরি বিক্রি করেও ফাইনাল দেখতে আহমেদাবাদে! গুরুর থেকে টিকিট পেয়ে আপ্লুত কলকাতার মনোজ