রাস্তায় কচুরি বিক্রি করেও ফাইনাল দেখতে আহমেদাবাদে! গুরুর থেকে টিকিট পেয়ে আপ্লুত কলকাতার মনোজ

কলকাতার ওই কচুরি বিক্রেতার নাম মনোজ জয়সওয়াল। দীর্ঘদিন ধরেই রাহুল দ্রাবিড়ের অন্ধ ভক্ত তিনি। গত ২৫ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের এই কিংবদন্তীর যাবতীয় ছবি ও খবর সংগ্রহ করে রেখেছেন।

আর কিছুক্ষণ পরই আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi) বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India Australia)। রবিবার সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। আজকের দিন যে প্রতিশোধ নেওয়ার লড়াই তা মানছেন ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকরা। আর সেকারণেই সকাল হতেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। তবে রবিবাসরীয় হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে অন্যান্যদের পাশাপাশি মাঠে থেকে প্রিয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাবেন কলকাতার (Kolkata) জানবাজারের এক কচুরি বিক্রেতা। হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর তার থেকেও অবাক করা বিষয় হল তাঁকে মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন রোহিত-বিরাটদের হেড স্যার রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)।

জানা গিয়েছে, কলকাতার ওই কচুরি বিক্রেতার নাম মনোজ জয়সওয়াল (Manoj Jaiswal)। দীর্ঘদিন ধরেই রাহুল দ্রাবিড়ের অন্ধ ভক্ত তিনি। গত ২৫ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের এই কিংবদন্তীর যাবতীয় ছবি ও খবর সংগ্রহ করে রেখেছেন। যা জানার পর বিশ্বকাপের মাঝেই তাঁকে ফাইনালের টিকিট পাঠিয়ে গুজরাটে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড স্যার। মনোজ জানিয়েছেন, ১৯৯৭ সাল থেকে দ্রাবিড়ের খেলা দেখছি। ওঁর ব্যাটিংয়ের মুগ্ধ ছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন দ্রাবিড়। আর আমিও ওঁর ছবি এবং পেপার কাটিং সংগ্রহ করতে শুরু করি। মনোজের দাবি, বর্তমানে ছ’ট্রাঙ্ক ভর্তি দ্রাবিড়ের ছবি ও নিউজ কাটিং রয়েছে তাঁর।

কীভাবে পরিচয়?

২০০১ সালে ইডেন ঐতিহাসিক টেস্টে দ্রাবিড়ের সঙ্গে পরিচয় হয় মনোজের। এরপর থেকেই মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এই ভক্তের। তবে মনোজ সাফ জানিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপ দ্রাবিড়ের জন্য জিতুক টিম ইন্ডিয়া। পাশাপাশি, মানুষ রাহুল দ্রাবিড়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কলকাতার ময়দান চত্বরের এই ছোলা-মটর বিক্রেতা মনোজ বলেন, অতো বড় মাপের একজন ব্যক্তি যে নিরহংকারী হতে পারেন, তা না দেখতে বিশ্বাসই করা যায় না। কলকাতার এই ভক্তকে কোনও দিনই ভোলেননি তিনি। পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট। আর টিকিট হাতে পেয়ে সবকিছু ভুলে গুজরাটে পৌঁছে গিয়েছেন মনোজ।

 

 

 

 

Previous articleআজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক
Next article‘রাহুল ভাইয়ের জন‍্য ট্রফি জিততে চাই’ : রোহিত