জারি অ.চলাবস্থা! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আ.টকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছল খিচুরি-ডালিয়া

এদিকে উদ্ধারকারীদের এই পাইপ ঢোকানোকে ধ্বংসস্তূপ এলাকায় প্রথম বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইপটি ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৫৩ মিটার ভিতরে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

কেটে গিয়েছে ১০ দিন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া শ্রমিকদের (Workers) উদ্ধারের (Rescue) কোনও উপযুক্ত পথই এখনও বের করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বলে খবর। আর সেকারণেই সময় যত বাড়ছে উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে। পাইপের মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন। এদিকে সোমবার একটি ছয় ইঞ্চি লম্বা পাইপ (Pipe) সুড়ঙ্গে প্রবেশ করান উদ্ধারকারীরা। সূত্রের খবর, এই পাইপের মধ্য দিয়ে আরও বেশি পরিমাণে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

গত ১২ নভেম্বর, রবিবার ভোরে উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একটি অংশ ধসে যায় বলে খবর। সেই সময় থেকেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ৮ শ্রমিক। তবে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র এখনও বের করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন উপায়ে উদ্ধারকারীরা রহস্যভেদের চেষ্টা করলেও সব চেষ্টাই কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে। এর আগে ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেনের মতো জিনিস পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। তবে সোমবার ৬ ইঞ্চি লম্বা পাইপ সুড়ঙ্গে প্রবেশ করিয়ে শ্রমিকদের কাছে রুটি, তরকারি, ভাত, ডালিয়া বা খিচুরির মতো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। কিন্তু আটকে পড়া শ্রমিকদের যাতে কোনওভাবেই পেটের সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছেন উদ্ধারকারীরা। এদিকে উদ্ধারকারীদের এই পাইপ ঢোকানোকে ধ্বংসস্তূপ এলাকায় প্রথম বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইপটি ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৫৩ মিটার ভিতরে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। ওই পাইপের মধ্য দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকরা উদ্ধারকারীদের কথা শুনতে পাবেন। এমনকি, মোবাইল ফোন এবং চার্জারও পাঠানো হবে ওই পাইপের মধ্য দিয়ে।

তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আটকে পড়া সকল শ্রমিকই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এদিকে সোমবার নতুন পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতর পাঠানো হয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং চার্জার। বর্তমানে সুড়ঙ্গের অন্তত ৬০ মিটার গভীরে শ্রমিকেরা আটকে আছেন। নানা দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার পরিকল্পনা চললেও নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এদিকে উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের পাশ থেকে সম্ভব না হলে উপর দিক থেকেও মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে। আর পুরো বিষয়টা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা।

 

 

 

 

Previous articleবঙ্গে পাকাপাকি শীতের পূর্বাভাস! কত ডিগ্রি নামবে পারদ?
Next articleলক্ষ্য বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান: কিছুক্ষণের মধ্যেই BGBS-এর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী