ডিপ ফেক ছবি ও ভিডিও দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও উদ্বেগজনক। প্রযুক্তি ক্ষেত্রের এই অপব্যবহার রুখতে শীঘ্রই আইন আনবে সরকার। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, যারা এই ডিপ ফেক ভিডিও বানাচ্ছে এবং যারা এগুলি ছড়াচ্ছে সেই সকল প্ল্যার্টফর্মকে শাস্তি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ন্যাসকম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একাধিক অধ্যাপক ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আজ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যার্টফর্মগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন ডিপফেকের বিপদ ও ঝুঁকিগুলি। এটা সামাজিক জীবনে অত্যন্ত বড়সড় বিপদ হিসেবে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কোনওরকম তথ্য অনুসন্ধান ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ডিপ ফেক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে পারে। যার ফলেই সমাজ ও গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসকে শক্তিশালী করতে অতি দ্রুত আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। AI ক্ষেত্রের একাধিক সংস্থা, NASSCOM, অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৪ টি বিষয়ের উপর কাজ করতে হবে- ১. এর তদন্ত কীভাবে হবে? ২. ডিপফেক ভাইরাল হওয়া কীভাবে আটকানো যায়? ৩. কোনও ব্যবহারকার কীভাবে দ্রুত এই বিষয়ে রিপোর্ট করবেন, এবং এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ কীভাবে নেওয়া যায়? ৪. এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কীভাবে সকলে মিলে কাজ করা যায়?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান ডিপফেলের নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনিয়তা আমরা স্পষ্টভাবে বুঝেছি। এটি ব্যবহারকারী/স্রষ্টা এবং হোস্ট প্ল্যাটফর্ম সকলকে জবাবদিহির জন্য দ্রুত আইন আনাই আমাদের লক্ষ্য। বহু মানুষ এখন লেভেলিং ও ওয়াটারমার্কিং এড়ানোর উপায় খুঁজে বের করে ফেলেছে। ফলে অন্যরকমভাবে আমাদের রাস্তা খুঁজতে হবে। বৈষ্ণব বলেন, যখন আমরা প্রবিধানের খসড়া তৈরি করব, আমরা আপলোড করা/তৈরি করা এবং প্ল্যাটফর্ম উভয়ের উপর জরিমানা আরোপের বিষয়টিও বিবেচনা করব। আমাদের পরবর্তী বৈঠক ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।