এক নাগাড়ে তিন দিন রাজধানীতে দূষণের চিত্রটা বদলাচ্ছে না অনেকবারেই। এই বিষয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। মাস্ক পরলেও সেটা যথেষ্ট নয় বলে জানাল শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে সিনিয়র আইনজীবীদের মামলার শুনানি ভার্চুয়ালি করার কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (CPCB) তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বাতাসের গুণমান সূচক আনন্দ বিহারে ছিল ৪৩১, চাঁদনি চকে ৪৫৫, বাওয়ানায় ৪৬০, নর্থ ক্যাম্পাস ডিইউ ৪১৪, অশোক বিহারে ৩৪৮, মুন্ডকায় ৪৩৮, দ্বারকা সেক্টর ৮-এ ৪০০, নারেলাতে ৪৩২ এবং রোহিণীতে ৪৪৭।
প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তার প্রমাণ দিতে বলেছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড় বা শস্যের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর কারণে রাজধানীর দূষণ মাত্রা বাড়ছে বলে দাবি করা হয়েছিল তাই শীর্ষ আদালত দুই রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা দূষণ রোধের আবেদন জানিয়ে দিল্লি গেটের সামনে প্রতিবাদ দেখায়। বায়ুদুষণ রোধে কার্যকর নীতি তৈরির দাবিতে পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মীরাও পথে নেমেছেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহে ‘ক্লাউড সিডিং’ করেছিল দিল্লি প্রশাসন কিন্তু লাভ হয়নি। দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
এদিন দিল্লির দূষণ পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে জানিয়ে আদালতে বিচারপতি পিএস নরসিমা প্রবীণ আইনজীবীদের বলেন, সশরীরে আদালতে আসার প্রয়োজন নেই যখন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা রয়েছে। এখন মাস্কও যথেষ্ট নয় বলেই স্পষ্ট জানায় বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- আধার কার্ডকে শিখণ্ডী করে নাম বাদের ফন্দি! আইনি লড়াই – গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
_
_
_
_
_
_
_
