অ.পহরণ নাকি সবটাই ভু.য়ো? মুর্শিদাবাদের ছোট্ট রাজার গল্প শুনে ধ.ন্দে পুলিশ

অপহরণকারীদের ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় শিশুটি। এরপর অচেনা রাস্তা ধরে ৩০ মিনিট দৌড়ে যাওয়ার পর এক সব্জি বিক্রেতার কাছে সবকিছু খুলে বলে রাজা। এরপর ওই ব্যবসায়ী রাজার বাড়িতে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান এবং রাজার পরিবারকে দ্রুত সেখানে আসতে বলেন।

নিজের বাড়ির সামনে খেলার সময় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অপহরণকারীদের (Kidnaper) বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষণ অভিযুক্তদের কাছে আটকে থাকার পর তাদের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় বছর ছয়েকের শিশু (Child)। আর শিশুটির উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহস দেখে অবাক সকলেই। এলাকার সকলের মুখে মুখে ঘুরছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগলার বাসিন্দা ৬ বছর বয়সী রাজা ঘোষের (Raja Ghosh)। তবে শিশুর অপহরণের (Kidnap) পুরো বিষয় নিয়ে কিছুটা সন্দিহান হলেও ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

গত রবিবার বাড়ির সামনে খেলছিল শিশুটি। এরপর আচমকাই রাজাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই রাজার মুক্তিপণ হিসাবে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপরই ছেলের খোঁজ শুরু করে পরিবার। মাত্র ৬ বছরের শিশুকে কারা অপহরণ করল তা নিয়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। কিন্তু এরমধ্যেই অসাধ্যসাধন করে রাজা। অপহরণকারীদের ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় শিশুটি। এরপর অচেনা রাস্তা ধরে ৩০ মিনিট দৌড়ে যাওয়ার পর এক সব্জি বিক্রেতার কাছে সবকিছু খুলে বলে রাজা। এরপর ওই ব্যবসায়ী রাজার বাড়িতে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান এবং রাজার পরিবারকে দ্রুত সেখানে আসতে বলেন। সেখানে পৌঁছতেই ছোট্ট রাজাকে ফিরে পায় বাবা, মা। তবে শিশুর এমন তাৎক্ষনিক বুদ্ধি দেখে প্রশংসায় সরব স্থানীয়রা। তবে পুলিশ শিশুর থেকে পাওয়া তথ্য সবটাই সত্যি বলে মানতে নারাজ পুলিশ। কিন্তু মুক্তিপণ চেয়ে আসা ফোন কলের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ভগবান থানার পুলিশ। তবে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, অপহরণকারীদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে পালিয়ে এল ওই শিশু তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

রাজা পুলিশকে জানিয়েছে, কান্নাকাটি করলেই ওরা চাকু দিয়ে ভয় দেখাত। রাতে যখন দেখি সবাই ঘুমোচ্ছে। তার পরেই ছাদে উঠে খড়ের গাদায় লাফ দিই। ছুটতে ছুটতে গিয়ে এক সব্জি নিয়ে বসা এক কাকুকে সব বলি। ওই কাকুই বাড়িতে ফোন ধরিয়ে দেয়। তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপহরণকারীদের কবল থেকে ফিরে এসে রাজার সাফ দাবি, রাজা ওরা ভয় দেখানোর চেষ্টা করলেও আমি কিন্তু একটুও ভয় পাইনি। এদিকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, শিশুটিকে কেউ অপহরণ করেনি। চূড়ান্ত ডানপিটে স্বভাবের রাজা নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপর একটি জায়গায় ঘুমিয়ে পড়ে সে। ভোরে ঘুম ভাঙার পর এক জন সব্জি বিক্রেতার কাছে গিয়ে অপহরণের গল্প ফাঁদে রাজা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভগবানগোলায় অপহরণের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই কেউ বা কারা এলাকায় ঘোষণা করে দেয়, শিশুর খবর দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে। আর পুরস্কারের লোভেই মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোন করেন যে তিন জন, তাঁদেরই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি অংশ মনে করছে, ধৃতেরা অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।

 

 

 

 

Previous articleবাংলার ব.ঞ্চিত মানুষের জন্য প্রাণ কাঁ.দে না! DA নিয়ে বিরোধীদের ক.ড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleভারতীয় দলের দায়িত্বে ফের দ্রাবিড়, নতুন চুক্তির পর কী বললেন ভারতীয় দলের কোচ?