বাংলার ব.ঞ্চিত মানুষের জন্য প্রাণ কাঁ.দে না! DA নিয়ে বিরোধীদের ক.ড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ পান। আর সেটা পান নতুন পে কমিশন অনুযায়ীই। বুধবার, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, এই ডিএ দিতে রাজ্য সরকারের কত খরচ হয় তাও তুলে ধরেন তিনি। স্পষ্ট জানান, “মহার্ঘ ভাতা দেওয়া ঐচ্ছিক, রাজ্য সরকারের কাছে বাধ্যতামূলক নয়”।

কেন্দ্রের সমহারে DA-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এ বিষয়ে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। মামলাও ঝুলে রয়েছে সেখানে। বাংলায় প্রচারে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গ তুলে উস্কানি দিতে চায়। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার শীতকালীন অভিবেশনে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ভোটের সময়ে অনেকে অনেক কিছু বলে যান।” এরপরেই বিগত বাম সরকারকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ”অনেকে এখন অনেক কথা বলছেন। ওদের সময়ে ডিএ কত বাকি ছিল? বামফ্রন্ট সরকার যে দেনা করে গিয়েছে, তা আমাকে শোধ করতে হচ্ছে।”

হিসেবে দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমাদের সরকার পঞ্চম বেতন কমিশনকে মান্যতা দিয়ে ৯০ শতাংশ বরাদ্দ করেছে। ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে।” তিনি জানান, “নতুন পে কমিশন কার্যকর করতে গিয়ে রকারের ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “DA বাধ্যতামূলক নয়, অপশন মাত্র।”

সরকারি কর্মচারীরা যে সুযোগ-সুবিধা পান তাও স্মরণ করিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ওরা ছুটিও দেয় না। আমরা দিয়েছি। ওরা হাতে গোনা ছুটি দেয়। আমরা ৪০-৪৫টা ছুটি দিই। দশ বছরে একবার বিদেশে যাওয়ারও সুযোগ দিয়েছি।”

 

এরপরেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন।

Previous articleদাদু-ঠাকুমাকে খু.ন করার অপ.রাধে আমেরিকায় গ্রে.ফতার ভারতীয় তরুণ!
Next articleঅ.পহরণ নাকি সবটাই ভু.য়ো? মুর্শিদাবাদের ছোট্ট রাজার গল্প শুনে ধ.ন্দে পুলিশ