বাপ্পাদিত্যর দাবি সিবিআই সন্তুষ্ট, তবে মোবাইল নিয়ে গেল এজেন্সি

ধর্মতলায় শাহি সভার পরদিনই কলকাতা, বিধাননগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে সকাল থেকে সিবিআই হানা। তৃণমূল মনে করছে, লোকসভার আগে চাপে রাখতেই রাজনীতির নোংরা খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এজেন্সিকে নিজেদের শাখা সংগঠনের মতো কাজ করাচ্ছে বিজেপি। ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বেছে বেছে তৃণমূল সহ বিরোধী নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিবিআই-ইডিকে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতায় সভার পর দিনই সাতসকালে কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ মামলায় কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশুগুপ্তের পাটুলির বাড়িতে সোজা পৌঁছে যায় সিবিআই।

প্রায় ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে শেষ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বাড়ি থেকে বেরনোর পর কাউন্সিলরও বাড়ির বাইরে আসেন। অপেক্ষারত সাংবাদিকদের তিনি জানান, “মনে হল সিবিআই সন্তুষ্টই।” আগামিদিনেও তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন তিনি।

বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, গোটা বাড়ি ও বাড়ির নীচে অফিসে তল্লাশির পর বেশ কয়েকটি নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তাঁর দুটি ব্যাঙ্কের নথি, একটি মোবাইল এবং বেশ কয়েকটি বায়োডাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কাউন্সিলর জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তৃণমূল কাউন্সিলর মনে বলেন, “সিবিআই সন্তুষ্টই। তা সত্ত্বেও ওনাদের বলেছি যখনই দরকার হবে ডাকতে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ডাকলে নিশ্চয়ই যাব।” বাপ্পাদিত্যর আরও দাবি, তিনি কোনভাবেই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর পরিবারের কেউ দুর্নীতির চাকরি পায়নি।

Previous articleদেবরাজের দুই বাড়িতে তল্লাশির পর স্ত্রী অদিতির গানের স্কুলেও সিবিআই
Next articleসঠিক সময় ট্রেন চালানোর দাবি! অফিস টাইমে যাত্রী বিক্ষো.ভে উ.ত্তপ্ত ঝাড়গ্রাম