সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের উদ্ধা.র কাজে সিঙ্গুরের ছেলের কৃতিত্ব!

৪০০ ঘণ্টার দীর্ঘ অপেক্ষার পরে অবশেষে সুড়ঙ্গ সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয় ৪১জন শ্রমিককে। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ কখন সম্পন্ন হবে? উদ্ধারের পর সেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের জন্য শুভেচ্ছার বন্যা সর্বত্র।আর এই কাজে উঠে এলো জমি আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা সিঙ্গুরের নাম। এবার গর্বিত হুগলি, উদ্ধার কাজে উঠে এল বাংলার ছেলের নাম। সবার ভরসা সত্যি করে আশার আলো দেখলেন যে শ্রমিকরা তাঁদের সুস্থ আমি বের করে আমার নেপথ্যে যে ছেলেটির হাত, তিনি সিঙ্গুরের অপূর্বপুরের বাসিন্দা। সিঙ্গুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌদ্বীপ খাঁড়াকে ঘিরে আজ হুগলি জুড়ে প্রবল উৎসাহ ।

সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামার পর সেখানে পৌঁছে যায় এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা। সাধারণত এই ক্যামেরার সাহায্যে পেটের ভিতর কোনো রোগকে নির্ণয় করা হয়। খানিকটা সেই পদ্ধতিতেই ওই ক্যামেরার সাহায্যেই প্রথমবার বাড়ির লোকেরা আটকে পড়া শ্রমিকদের কয়েকজনকে দেখে আশ্বস্ত হন। সুড়ঙ্গে ওই ধসের মধ্য দিয়ে সেই ক্যামেরা পাঠানোর পিছনে রয়েছেন এক বেসরকারি পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থার কর্মী সিঙ্গুরের ছেলে দৌদ্বিপ। হুগলি জেলার টিপিআই কলেজে পড়াশোনা সেরে এখন কলকাতা বেসরকারি একটি কলেজে নিজের পড়াশোনা করছেন তিনি। দৌদ্বীপের মা সবিতা খাঁড়া বলেন, আমার গর্বে বুক ফুলে উঠছে, খাওয়াদাওয়া করতে পারছি না এত আনন্দ। ভাবতেই পারছি না, যে ছেলে এমন একটা জায়গায় চলে গেছে। টিভিতে জখম প্রথম এই উদ্ধারকাজে ছেলের অবদানের কথা জানতে পারি তখন ওর বাবার আর আমার খুব আনন্দ হয়। সিঙ্গুরের বিডিও বাড়িতে খোঁজ নিয়েছেন,ভূয়সী প্রশংসাও করেন।দৌদ্বীপের মা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডেকেছেন ছেলেকে। বাবা বলছেন, আমাদের ছেলে এতগুলো পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এতেই আমরা খুশি। প্রফেসর সৌমেন্দ্রনাথ বসু জানান, টিপিআই কলেজে তাঁর ছাত্র ছিলেন দৌদ্বীপ। কলেজের প্রিন্সিপাল অভিজিৎ কর্মকার বলেন সার্ভে ইজ্ঞিনিয়ারিং নিয়ে ২০১৫ সালে পাস আউট দৌদ্বীপ ভবিষ্যতে আরও অনেক উন্নতি করুক, এটাই কাম্য।

Previous articleবিশ্বকাপে তেমন সুযোগ হয়নি, ফাইনালেও দলে জায়গা হয়নি, অধিনায়ককে নিয়ে কী বললেন অশ্বিন?
Next articleExit Poll: ৪ রাজ্যেই শা.সক-বিরোধী হাড্ডা.হাড্ডি ল.ড়াই, ছত্তিশগড়ে পাল্লা ভারী কংগ্রেসের