তিন বছর পর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা

ছোট পরিসরে পালিত হবে মহর্ষির প্রতিষ্ঠিত পৌষমেলা, এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়

তিন বছর পর ফের শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠেই হবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের মত বড় করে নয়, ছোট পরিসরে পালিত হবে মহর্ষির প্রতিষ্ঠিত পৌষমেলা, এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু শনিবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হল। এ বার শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফে জানানো হল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতো ছোট করে মেলা করা সম্ভব নয়। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার জানিয়েছেন, ছোট করে মেলা করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, মেলার যে ব্যয় হয়, সেই খরচপাতি এই দোকানপাট থেকে উঠে আসে। তা ছাড়া, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে মেলা করার কথা জানানো হলেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু জানানো হয়নি। তাঁর আরও যুক্তি, মেলায় যদি কেউ দোকানপাট নিয়ে আসেন, ছোট করে ব্যবসা করতে চান, তা হলে ওই ব্যবসায়ীদের বারণ করা সম্ভব হবে না। ফলে মেলা আগের মতোই করতে হবে।

করোনা পরিস্থিতি চলার আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে শেষবার হয়েছিল পূর্বপল্লির মাঠে। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ রেখেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ২০২১ সালের পর ২০২২ সালে ছোট করে পৌষমেলা হলেও সেই পৌষমেলা ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার রূপ নিতে পারেনি। ব্যবসায়ীদের মতে, সেটা ছিল দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। ২০২১ সাল এবং ২০২২ সালে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা বন্ধ করে দেওয়াকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র।

গত মাসে উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জায়গায় নতুন উপাচার্য হন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই নতুন উপাচার্য আসার পর ফের আবার ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা চালু হবে বলে আশাবাদী ছিলেন সকলে। পাশাপাশি অনেকের মনের মধ্যে ছিল যেহেতু এক মাসেরও কম সময় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার। তাই এত বড় পৌষমেলার আয়োজন হঠাৎ করে করা আর সম্ভব হয়ে উঠবে না হয়তো। তবে সকলের সেই দুশ্চিন্তার অবসান হল।

এ প্রসঙ্গে, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি থেকে শুরু করে পড়ুয়া, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ উপাচার্যকে মেলার আয়োজন করার জন্য ডেপুটেশন দিয়েছিল। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে প্রায় দু’ঘণ্টা কর্ম সমিতির বৈঠক হয় এবং সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হবে।

Previous articleজ্ব.র হওয়ায় অফিসে অনুপস্থিত! রা.গে এক কর্মীকে বেধড়ক পে.টালেন অফিসার
Next articleনির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই ফের উ.ত্তপ্ত ছত্তিশগড়! মা.ওবাদী হা.নায় আ.হত ২ CRPF জওয়ান