অন্ধ্র পুলিশের ‘দা.দাগিরিতে’ ব্যাকফুটে তেলেঙ্গানা! বাঁধ দখলকে কেন্দ্র করে বাড়ছে উ.ত্তেজনা

পুলিশি হানার বিরুদ্ধে তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব শান্তি কুমারীর অভিযোগ, গায়ের জোরে বাঁধের সিসিটিভি ভেঙে নাগার্জুন সাগর বাঁধের ৫ এবং ৭ নম্বর লকগেট খুলে খালে জল ঢুকিয়েছে অন্ধ্র পুলিশ। বেআইনিভাবে প্রায় ৫ হাজার কিউসেক জল দখল করা হয়েছে।

সময় যত গড়াচ্ছে জল নিয়ে তেলেঙ্গানা (Telengana) ও অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা নদীর (Krishna River) উপর থাকা নাগার্জুনসাগর (Nagarjuna Sagar) বাঁধের দখলদারি নিয়ে এবার শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তবে ঘটনার সুত্রপাত ২০১৪ সালে, যখন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানাকে আলাদা করা হয়েছিল সেই সময় থেকে দুই রাজ্যের মধ্যে এই বাঁধ নিয়ে বিবাদ চলছে। তবে বুধবার রাতে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। গভীর রাতে সীমান্ত পেরিয়ে পড়শি রাজ্য তেলেঙ্গানায় ঢুকে পড়ল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। এরপরই একেবারে কৃষ্ণা নদীর নাগার্জুন সাগর বাঁধের দখল নেয় তাঁরা। এরপর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের আপত্তি সত্ত্বেও বাঁধের গেট খুলে দেয় পুলিশ। যার জেরে কয়েক হাজার কিউসেক জল (Water) নিজেদের দখলে পেল অন্ধ্র প্রদেশ।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ২টো নাগাদ অন্ধ্র পুলিশের ‘ঝটিকা অভিযান’ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে তেলেঙ্গানায়। বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানায় ছিল বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার হবে গণনা। আর নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের আবহে এবার প্রশাসনিক ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে অপারেশন চালাল অন্ধ্র পুলিশ। এদিন ৫০০-র বেশি অন্ধ্র পুলিশ ও কনস্টেবল বাঁধ দখল অভিযানে নামেন। তবে পুলিশি হানার বিরুদ্ধে তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব শান্তি কুমারীর অভিযোগ, গায়ের জোরে বাঁধের সিসিটিভি ভেঙে নাগার্জুন সাগর বাঁধের ৫ এবং ৭ নম্বর লকগেট খুলে খালে জল ঢুকিয়েছে অন্ধ্র পুলিশ। বেআইনিভাবে প্রায় ৫ হাজার কিউসেক জল দখল করা হয়েছে।

এদিকে এমন ঘটনার জেরে দক্ষিণ তেলঙ্গানার একাধিক জেলাগুলিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিকে কৃষ্ণা নদী পরিচালন পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবিলম্বে আগেকার অবস্থায় ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ সরকারকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা দু’রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব দেন, ভবিষ্যতে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে নাগার্জুন সাগর বাঁধের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের হাতে তুলে দেওয়ার। তবে তেলেঙ্গানার পাল্টা অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের সেচমন্ত্রী অম্বাতি রামবাবু জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক জলবণ্টন চুক্তি মেনেই জল নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষ্ণার জলের ৬৬ শতাংশ অন্ধ্রপ্রদেশের এবং ৩৪ শতাংশ তেলঙ্গানার। আমরা কোনও চুক্তি লঙ্ঘন করে জল ব্যবহার করিনি।

 

 

 

 

Previous articleঅ.ভিযোগের ত.দন্তে ছুটির দিনেও বিধানসভায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ
Next articleশরদ পাওয়ারই সরকারে যোগ দিতে বলেছিলেন: বিস্ফোরক দাবি ভাইপো অজিতের