সুড়ঙ্গে ৪০০ ঘণ্টার প্রবল চা.প সামলেছেন ছেলেবেলার খেলায়! কী জানালেন কোচবিহারের মানিক

কখনও কী বেরবো এই অন্ধকার থেকে? দেখতে পাব প্রিয়জনের মুখ? একদিন কি এভাবেই সুড়ঙ্গের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে হবে? এই চার ৪০০ঘণ্টা ধরে সামলানো মুখর কথা নয়। কীভাবে সামলালেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক! উদ্ধার হওয়ার পরে জানালেন, ছেলেবেলার রাজা-মন্ত্রী-চোর-সিপাই খেলাই শান্ত রেখেছিল শ্রমিকদের। শৈশবের খেলায় মেতে বাইরের জগতের সঙ্গে যওগাযোগ না থাকার চাপ সামলেছেন শ্রমিকরা।

সভ্য জগৎ মাত্র ৬০ মিটার দূরে। কিন্তু সেই দূরত্বই টলানো যায়নি ৪০০ ঘণ্টা ধরে। বাইরে অপেক্ষায় থাকা পরিবার থেকে গোটা দেশ কখনও আশা কখনও আশঙ্কায় রাতের পর রাত কাটিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই বাঁচার বা ওই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার আশা ছাড়েননি উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক। ভাষা বা রাজ্যের ভেদে আলাদা হলেও ওই ১৭ দিন ধরে ওদের একটাই পরিচয় ছিল – সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিক। সবার ছোটবেলার খেলা – রাজা-মন্ত্রী-চোর-সিপাই খেলা। আর এই খেলাই শৈশবের আনন্দ বাঁচার রসদ জুগিয়েছিল তাঁদের। বাড়ি ফিরে জানিয়েছেন কোচবিহারের মানিক তালুকদার। মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে নেট সংযোগ না থাকলে যারা হাঁফিয়ে যান, এ যেন তাদের কাছেও বেঁচে থাকার চরম শিক্ষা।

সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে যাবতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে ফেরেননশ্রমিকরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের মানিক তালুকদার ও তাঁর দুই আত্মীয়ও। দিল্লির বঙ্গভবনে রাত কাটিয়ে শুক্রবার বেলায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন তারা। সেখান থেকে সোজা কোচবিহার। তবে বাংলার আরও ২ জন-হুগলির সৌরভ পাখিরা ও জয়দেব প্রামাণিক কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করে কিছুদিনের মধ্যেই ফিরবেন বলে সূত্রের খবর।