ঘোড়া কেনাবেচার ছক বিজেপির? হায়দ্রাবাদে রিসর্টের বাইরে সারি সারি বাস

রবিবাসরীয় ভোটের ফলাফলে কংগ্রেসের আশায় অনেকটা জল ঢেলেছে গোবলয়। একমাত্র দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় প্রত্যাশিত জয়ের পথে কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও বোর্ড গঠনের জন্য কী ঘোড়া কেনাবেচার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে কংগ্রেসকে? হায়দ্রাবাদের একটি অভিজাত হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি লাক্সারি বাস দেখে এখনই অবশ্য সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বিধানসভা ভোটের শেষে ক্ষমতা দখলের লড়াইতে ঘোড়া কেনাবেচা এখন এদেশে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজস্থান থেকে আসাম সর্বত্র এর উদাহরণ রয়েছে। এই রাজনৈতিক চাল থেকে বাঁচতে অনেক দলকেই দেখা গিয়েছে নিজেদের জয়ী সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে। তেলেঙ্গানায় ভোটের শেষেও কী সেই একই ছবি দেখা যাবে? রাজ্যের ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক নাম্বার ৬০। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যা পেরিয়ে ৬৬ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও কী নিশ্চিন্ত হতে পারছে না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড?

ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা রহিম খান পৌঁছে গিয়েছেন হায়দ্রাবাদে। কর্ণাটকের পালে কংগ্রেসের হাওয়া লাগার পর খানিকটা শক্তি বাড়িয়েছে তেলেঙ্গানার কংগ্রেসও। ক্ষমতায় থাকা চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস সেখানে ৪০টি আসনে এগিয়ে থেকে ম্যাজিক নাম্বার থেকে অনেকটাই দূরে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশে কংগ্রেসের বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টা তারা চালাবে না এমন আশঙ্কা কংগ্রেস উড়িয়ে দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস বিধায়কদের অপেক্ষমান স্লিপার বাসে করে এনে রাখা হতে পারে ওই বিলাশবহুল হোটেলে। তবে কংগ্রেস নেতা রহিম খানের দাবি, সব সিদ্ধান্তই হাইকম্যান্ড নেবে।

Previous articleবালকনাথ নাকি বসুন্ধরা? জয়ের আভাসে ‘কুর্সি কোন্দল’-এর ইঙ্গিত মরুরাজ্যে
Next article৩ রাজ্যের ক্ষ.মতা দখলে আসতেই জনতার কাছে ‘নতজানু’ মোদি-শাহ! শুভেচ্ছা তেলেঙ্গানাবাসীকেও