মিজোরামে শুরু ভোট গণনা! MNF-এর পাশা উল্টে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা জোরাম পিপলস মুভমেন্টের

২০১৮ সালে মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনে ২৬ আসনে জয়ী হয়েছিল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (MNF)। কংগ্রেসকে হারিয়ে এনডিএ জোটের শরিক দল সরকার গঠন করেছিল।

রবিবারই ৪ রাজ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্রিশগড়, তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর সোমবার মিজোরামের (Mizoram) বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। গত ৭ নভেম্বর মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন হয়। ৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ১৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মিজোরামে মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলি হল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (MNF), জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (ZPM) ও কংগ্রেস (Congress)। তিনটি দলই ৪০ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) মাত্র ১৩টি আসনে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়। আম আদমি পার্টিও (AAP) এবার প্রথম মিজোরামের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৪ আসনে লড়াই করে আপ প্রার্থীরা। এদিকে ৩ ডিসেম্বরই বাকি ৪ রাজ্যের সঙ্গে মিজোরামের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শুক্রবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে মিজোরামের ফল প্রকাশ একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।  মিজোরামে রবিবার দিনটি পবিত্র দিন বলে মনে করা হয় বলেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এমএনএফ। ১৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেডপিএম। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে দশটি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে দু’টি আসনে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনে ২৬ আসনে জয়ী হয়েছিল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (MNF)। কংগ্রেসকে হারিয়ে এনডিএ জোটের শরিক দল সরকার গঠন করেছিল। জোরাম পিপলস মুভমেন্ট দল পেয়েছিল ৮টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৫টি। তবে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে বুথ ফেরত সমীক্ষায় এবার মিজোরামে পালাবদলের সম্ভাবনাই উঠে এসেছে। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে বিরোধী দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এক্সিট পোল বলছে, জেডপিএম পেতে পারে ২৮ থেকে ৩৫টি আসন। এমএনএফের মাত্র ৩ থেকে ৭টি আসনে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। কংগ্রেস মাত্র ২ থেকে ৪টি আসন পাবে, বিজেপি সর্বাধিক ২টি আসন পেতে পারে। ৪০টি আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২১। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন এমএনএফ প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা (আইজল পূর্ব-১), উপমুখ্যমন্ত্রী তাওনলুইয়া (তুইচাং), বিরোধী দলনেতা লালডুহোমা (সেরচিপ), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লালসাওতা (আইজল পশ্চিম-২)।

এদিকে সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন রয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে। বুথে বুথে খোলা হয়েছে স্ট্রং রুম খোলা হয়েছে। কিন্তু চার রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্যে বিজেপি জয় পেলেও মিজোরাম কাঁটা কিন্তু এখনও বিঁধে রয়েছে বিজেপির গলায়। শাসকদল এমএনএফ ২০১৬ সাল থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র এর সদস্য। কিন্তু সম্প্রতি সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছে এমএনএফ। তার কারণ মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসা।

 

 

 

Previous articleToday’s market price: আজকের বাজারদর
Next articleকী ঘটেছিল আজকের দিনে?