কী ঘটেছিল আজকের দিনে?

১৮২৯

সতীদাহ প্রথা রদ হল এদিন। লর্ড বেন্টিঙ্ক ১৭ নং রেগুলেশন দ্বারা সতীদাহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। মাদ্রাজ ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও এই রেগুলেশন কার্যকরী হওয়ায় সতীদাহ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষিত হয়। এর আগে হিন্দু সমাজে মৃত স্বামীর চিতায় জীবন্ত দাহ করা হত এই বিশ্বাসে যে পরলোকে সতী মৃত স্বামীর সাহচর্য পাবেন। হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লাগার ভয়ে ব্রিটিশ সরকার এই প্রথা রদে সাহস দেখায়নি। ১৮১২-’১৩ সালে একটি আদেশনামার দ্বারা বিধবাকে কোনওরকম মাদক খাইয়ে সতী হতে বাধ্য করা নিষিদ্ধ হয়। ১৮১৭ সাল থেকে সতীদাহের সময় কাছের পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিতে বলা হয়। প্রথম প্রতিবাদ জানান রাজা রামমোহন রায়। তাঁর মতে, এটা ‘নরহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়’। মূলত তাঁর চেষ্টায় সতীদাহ প্রথা বন্ধ হলে টাউন হলের এক জনসভায় তাঁকে কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকরা সংবর্ধনা দেন।

১৮৮৮ রমেশচন্দ্র মজুমদার

(১৮৮৮-১৯৮০) এদিন ফরিদপুরের খণ্ডপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক। প্রথম গবেষণা শুরু করেন প্রাচীন ভারত নিয়ে। ১৯৫১ থেকে ২৬ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১১টি খণ্ডে বৈদিক ভারত থেকে স্বাধীন ভারত পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বছরের ভারতের সামগ্রিক ইতিহাস রচনা করেন। বইটির নাম ‘হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অফ দি ইন্ডিয়ান পিপল’। সাত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর সর্বশেষ গ্রন্থ ‘ জীবনের স্মৃতিদীপ’।

১৯১০ রামস্বামী ভেঙ্কটরমন

(১৯১০-২০০৯) এদিন তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন। সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।

২০১৭ পূরবী মুখোপাধ্যায়

(১৯৩৪-২০১৭) এদিন সুরলোকে গমন করেন। সুবিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। কিংবদন্তি শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নেন পূরবীদেবী। এক সময় গুরুর সঙ্গে কলকাতার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দ্বৈত সংগীত পরিবেশনে সুনাম কুড়িয়েছেন। পরবর্তীকালে বিশ্বভারতীর পরীক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেছেন। তাঁর বহু রেকর্ড জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে।

 

১৯৯৬ মঙ্গলে পাথফাইন্ডার

আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে পাথফাইন্ডার নভোযান উৎক্ষেপিত হল মহাকাশে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে। এই মহাকাশযানে কোনও নভশ্চর ছিলেন না। এটি ছিল পুরোদস্তুর রোবট চালিত যান। নাসার তৈরি পাথফাইন্ডার মঙ্গলগ্রহের ছবি ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সফলভাবে পাঠিয়েছিল।

১৮৯৩ দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

(১৮৯৩-১৯৪৩) এদিন কালিকাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত অভিনেতা। জমিদার বংশের ছেলে। প্রথম জীবনে ছবি আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯২৩-এ স্টার থিয়েটারে ‘কর্ণার্জুন’ নাটকে বিকর্ণের ভূমিকায় প্রথম মঞ্চে নামেন। ১৯৪২ পর্যন্ত চলচ্চিত্র ও রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

২০১৭ শশী কাপুর

(১৯৩৮-২০১৭) এদিন প্রয়াত হন। পৃথ্বীরাজ কাপুরের তৃতীয় সন্তানের মৃত্যুকে একটা যুগের অবসান বলেই মনে করা হয়। বড় দুই দাদা রাজ কাপুর, শাম্মি কাপুরের পরে সেই লিগ্যাসিটা ধরে রেখেছিলেন শশীই। ১৯৪৮-এ শিশু অভিনেতা হিসেবে এই জগতে প্রবেশ। তবে ১৯৬১-তে ‘ধর্মপুত্র’ ছবিতে নায়ক হিসেবে ডেবিউ। তাঁর মতো সুপুরুষ অভিনেতা খুব কমই এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। শুধু অভিনয় নয়, ছবি তৈরির গোটা পদ্ধতির মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন তিনি। পরিচালকের চেয়ারেও তাঁকে দেখেছে বলিউড। হিন্দি ছাড়াও একটি রাশিয়ান ছবি পরিচালনা করেছিলেন। সু-অভিনেতার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্বও ছিল অনন্য। নিজেকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও দেখতে চেয়েছিলেন। তার মাশুলও তাঁকে দিতে হয়েছিল। প্রযোজক হিসেবে বড় অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল। খারাপ সময়ের মধ্যে সে সময় সপরিবার মুম্বই থেকে গোয়ায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ‘জব জব ফুল খিলে’র নায়ক। ১৯৭১-এ ‘শর্মিলী’ ছবির দৌলতে সেই আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পান। ২০১১-এ পদ্মভূষণ ২০১৫-এ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন শশী। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

 

 

 

Previous articleমিজোরামে শুরু ভোট গণনা! MNF-এর পাশা উল্টে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা জোরাম পিপলস মুভমেন্টের
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস