সংসদে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব সুদীপ, ধর্মেন্দ্রর ‘অনধিকার চর্চা’য় ক্ষোভপ্রকাশ

বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার, লাগাতার চলছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন লোকসভায় এই ইস্যুতেই সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন লোকসভায় জিরো আওয়ারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে ‘অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ’ করতে চাইছে। মনরেগা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রয়েছে রাজ্যের, অবিলম্বে সেই বকেয়া মেটানোর দাবি জানান তিনি।

এদিকে লোকসভার জিরো আওয়ারে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল সাংসদকে সোচ্চার হতে দেখেই, তড়িঘড়ি আসরে নামেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সুদীপের বক্তব্যের জবাবে পাল্টা চাঞ্চল্যকর দাবি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বাংলার মিড ডে মিলে ৪ হাজার কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা যুক্তি দিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনরেগা, পিএম আবাস যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে, ভারত সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সমস্ত অর্থ গত দুই বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে, যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

লোকসভায় তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন যে , তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আমরা সাংসদ ও আমাদের মন্ত্রীরা দিল্লিতে এসেছিলাম গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে, ক্যাবিনেট মন্ত্রী নয়, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমরা ওয়েটিং হলে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে থাকি, আমাদের চা দেওয়া হয়। অবশেষে, যখন আমরা মিটিং করতে গেলাম, তিনি চলে গেলেন,আমাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। উল্লেখ্য, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ৯ মার্চ ২০২২ থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য তহবিল আটকে রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি বকেয়া ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর অনধিকার চর্চায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে দপ্তরের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ জানিয়েছি তাদের উত্তর দেওয়ার কথা । হঠাৎ করে পিছন থেকে ছুটে এসে ধর্মেন্দ্র প্রধান যিনি উড়িষ্যার লোক তিনি কেন এর মধ্যে বললেন? রাজ্যকে বঞ্চনা করা নিয়ে আমাদের যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। আমরা বলেছি মুখ্যমন্ত্রী আসবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। বিষয়টি আমরা এখানেই ছেড়ে দেব না।

Previous articleসংসদে পেশ হল না মহুয়া মামলার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট
Next articleরাজ্য সঙ্গীতকেও জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদায় গাইতে হবে: বিধানসভায় মিউজিয়াম উদ্বোধন করে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর