আলিপুরদুয়ারে পৌঁছেই পথে হেঁটে জনসংযোগ মুখ্যমন্ত্রীর, পাঁচিল-রাস্তা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ

 

সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুদিনের সফরে আলিপুরদুয়ার (Alipurduwar) গিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হেঁটে জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার, দুপুরে হাসিমারা থেকে কপ্টারে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সোজা চলে যান সার্কিট হাউসে। প্রায় কুড়ি মিনিট পরে শহরের রাস্তায় বের হোন তিনি। একাধিক জায়গায় পাঁচিল, রাস্তা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন। প্রেস ক্লাবের কাজ শেষ না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

এদিন, বিকেলে কলেজ হল্টের দিক দিয়ে বেরিয়ে বক্সা ফিডার রোড ধরে ফ্লাইওভারের দিকে হাঁটতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে রাস্তার দুপাশে পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। মুখ্যমন্ত্রীও সবার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। কোচবিহার রাস মেলা দেখতে যাওয়ার পথে বাস থেকে তৃণমূল সভানেত্রীকে দেখে দিদি, দিদি আওয়াজ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের আদর করেন।

 

প্যারেড গ্রাউন্ডের পাশের রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয় ফিরতি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার আবদার মেটান মমতা (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তাঁদের লেখাপড়া নিয়ে খোঁজখবর নেন। জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার সামনে একজন অসুস্থ মানুষ লটারি বিক্রি করছিলেন। তাঁর কাছে গিয়ে শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে তাঁকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। আলিপুরদুয়ার ইনডোর স্টেডিয়ামের পাঁচিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রাস্তাটি দ্রুত ঠিক করার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও জেলা প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণে দেরি হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসকের কাছে জানতে চান, “আমি তিন বছর আগে বলে গিয়েছিলাম, এখনও কেন প্রেস ক্লাবের ভবন নির্মাণ হয়নি?” সব কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন। আচমকা শহরের রাস্তায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে অভিভূত আলিপুরদুয়ারবাসী।

Previous articleমহুয়ার পাশে দাঁড়ানোর শাস্তি? সাংসদ দানিশ আলিকে সাসপেন্ড মায়াবতীর
Next articleমোদির ‘জনধন যোজনা’য় বিরাট দুর্নীতি, খোঁজ নেই ১০ কোটি অ্যাকাউন্টের!